যুদ্ধ বন্ধে এই প্রথম পুতিনের প্রতি সরাসরি আহ্বান পোপের

ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে ‘সহিংসতা ও মৃত্যুর চক্র’ বন্ধে এই প্রথম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। আবেগঘন এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘নদীসম রক্ত ও কান্না’ তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। খবর আল-জাজিরার

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করারও নিন্দা জানিয়েছেন পোপ। তিনি বলেন, এটি পারমাণবিক উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়িয়েছে। সেন্ট পিটারস স্কয়ারে ইউক্রেনের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের সময় পুতিনকে নিজের জনগণের কথা চিন্তা করারও আহ্বান জানান পোপ।

আরও পড়ুন

ভ্যাটিকানের একজন কর্মকর্তা বলেন, আবেগঘন এ বক্তব্য ছিল খুবই বিষণ্নতায় ভরা। এটি ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র–সংকটের সময় পোপ জন ২৩তম রেডিও ভাষণে যে শান্তির আবেদন জানিয়েছিলেন, সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।

পোপ ফ্রান্সিস ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এবং এ কারণে ঘটা প্রাণহানির নিন্দা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এই প্রথম সরাসরি পুতিনের প্রতি তিনি ব্যক্তিগতভাবে আহ্বান জানালেন।

ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘সর্বোপরি রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের প্রতি আমার আবেদন, তাঁকে অনুরোধ করছি সহিংসতা ও মৃত্যুর এই চক্র বন্ধ করার জন্য; এমনকি তাঁর নিজের লোকদের প্রতি ভালোবাসা থেকে হলেও।’

আরও পড়ুন

একই সঙ্গে লড়াই বন্ধের প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পোপ বলেন, ‘অন্যদিকে হামলার ফলে ইউক্রেনের জনগণের ব্যাপক দুর্ভোগে ব্যথিত দেশটির প্রেসিডেন্ট। তাঁর প্রতিও একইভাবে আশাবাদের সঙ্গে আমার আবেদন, যেকোনো আন্তরিক শান্তি প্রস্তাব গ্রহণে তিনি উদার হবেন।’

‘ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে’ সংঘাত বন্ধে পোপ জরুরি ভিত্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বকে পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকিতে ফেলাটা ‘অনর্থক’। রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই নেতার প্রতি জানানো আহ্বানের বিষয়ে পরে টুইটও করেন পোপ।

দুই দিন আগে ইউক্রেনে আংশিক দখলে থাকা চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন পুতিন। তিনি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘আমাদের চিরদিনের নাগরিক’ বলে অভিহিত করেন।

এই চার অঞ্চলকে যুক্ত করার রাশিয়ার ঘোষণাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা নিন্দা জানিয়েছে। ইউক্রেনের দখলকৃত সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কিয়েভ।