অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেল সুইডেন

ন্যাটোয় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তুলে দেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনেছবি: রয়টার্স

সামরিক জোট ন্যাটোয় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সামরিক জোটে যোগদানের প্রক্রিয়া শেষ করে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে ন্যাটোর ৩২তম সদস্যরাষ্ট্র হলো সুইডেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরেই ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন করে সুইডেন। প্রায় দুই বছর পর দেশটি সদস্যপদ পেল। এর আগে গত বছর ৩১তম সদস্য হিসেবে এই সামরিক জোটে যুক্ত হয় ফিনল্যান্ড।

ন্যাটোতে যোগদানের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, ‘ঐক্য ও সংহতি সুইডেনের জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।’ আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘যারা অপেক্ষা করে, তারা ভালো কিছুই পায়। আমাদের প্রতিরক্ষা জোট এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও বড়।’
এ বিষয়ে ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেছেন, সুইডেন তাদের ‘সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রথম শ্রেণির প্রতিরক্ষা শিল্প’ নিয়ে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে। ফলে এই জোট আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ হয়েছে।

ন্যাটোতে যোগদানের আবেদনের পর জোটের দুই সদস্যদেশের কাছ থেকে বাধা পেয়েছিল সুইডেন। তুরস্ক প্রথমে এতে রাজি হয়নি। দেশটির বক্তব্য ছিল, কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে স্টকহোম। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই আপত্তি তুলে নেয় আঙ্কারা।

তুরস্ক বাদেও ন্যাটোর সদস্য হতে সুইডেনের সামনে বাধা ছিল হাঙ্গেরি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের অভিযোগ, হাঙ্গেরির প্রতি শত্রুতার মনোভাব রয়েছে স্টকহোমের। তবে সম্প্রতি সুইডেনকে ন্যাটোতে নিতে রাজি হয় হাঙ্গেরিও।