জার্মানিতে গণপরিবহনে ছুরি বহন নিষিদ্ধ চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

হামলার পর সতর্ক অবস্থানে পুলিশ। উজবুর্গ, বাভারিয়া, জার্মানি, ২৫ জুন।
ছবি: এএফপি

ছুরি নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় গণপরিবহনে ছুরি বহন নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা। পাশাপাশি তিনি শহরের ভেতরে অস্ত্রমুক্ত এলাকা বাড়ানোর পক্ষে। পুলিশ বাহিনী থেকেও এসেছে একই পরামর্শ।

জামার্নির ফেডারেল সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজা জানিয়েছেন, ছুরি নিয়ে সন্ত্রাস মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ চান তিনি। জার্মান সংবাদমাধ্যম ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন, বাস ও ট্রেনে আমাদের ছুরি বহন নিষিদ্ধ করা উচিত।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, উড়োজাহাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কাউকে ছুরি বহনের অনুমতি দেওয়া হয় না। গণপরিবহনে নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি শহরের ভেতরে অস্ত্রমুক্ত এলাকাও একটি সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে ফেডারেল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিসের প্রেসিডেন্ট হলগা ম্যুন্সও প্রায় একই পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অনেক শহরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো অস্ত্রমুক্ত রাখা হয়, যেখানে পুলিশ প্রতিনিয়ত তল্লাশি চালাতে পারে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং ডাকাতিতে ১১ শতাংশ ক্ষেত্রে ছুরির ব্যবহার হয়। নাগরিকের অস্ত্র রাখার আইন আরও কঠোর করার পক্ষে তিনি।

গত জানুয়ারিতে হামবুর্গে ট্রেনে ছুরি হামলায় দুজনের মৃত্যু ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনার পর ছুরি-সন্ত্রাস নিয়ে জার্মানিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার আগে গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ জার্মানির ইলারকির্শব্যার্গে এক ব্যক্তির ছুরি হামলায় ১৪ বছরের এক শিশু নিহত ও এক শিশু গুরুতর আহত হয়।

বিল্ড আম জনটাগ পত্রিকাকে জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালে ট্রেনের ভেতরে ও ট্রেন স্টেশনে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৮টি অপরাধের ঘটনা তারা নথিভুক্ত করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে শারীরিক আক্রমণ চালানোর ঘটনা ছিল ১৪ হাজার ১৫৫টি আর ছুরির ব্যবহার ছিল ৩৩৬টি, যা আগের বছরের দ্বিগুণ।