জবাব দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত গুচ্ছবোমা আছে রাশিয়ার: হুঁশিয়ারি পুতিনের

ক্লাস্টার বোমা তথা গুচ্ছবোমা ব্যবহারের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি গুচ্ছবোমা ব্যবহার করে, তাহলে জবাব দেওয়ার মতো দেশটির হাতে পর্যাপ্ত গুচ্ছবোমা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া গুচ্ছবোমা হাতে পেতে শুরু করেছে ইউক্রেন। তবে অবিস্ফোরিত বোমায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির ঝুঁকি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির মিত্ররাও এ সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়েছে। ১২০টির বেশি দেশে এই অস্ত্র নিষিদ্ধ।

পুতিন বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের গুচ্ছবোমার পর্যাপ্ত মজুত রাশিয়ার আছে। যদি তারা আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে জবাব দেওয়ার অধিকার আমরা রাখি।’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, একটা পর্যায়ে কিছু অস্ত্রের স্বল্পতা তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেনি রুশ বাহিনী।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করে আসছে, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ইতিমধ্যে গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়া।

পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জুন মাসের শুরুতে রুশ বাহিনীর ওপর ‘পাল্টা আক্রমণ’ শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে কিয়েভের এই ‘পাল্টা আক্রমণ’ ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা অবস্থান ভেঙে সামনে এগোনোর শত্রুদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর থেকে তারা কোনো সাফল্য পায়নি।’

যুদ্ধের এই কঠিন পরিস্থিতি গত শুক্রবার স্বীকার করেছে ইউক্রেনও। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রি ইয়েরমাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন দ্রুত সামনে অগ্রসর হওয়াটা কঠিন।’