রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এল গুপ্তধন

রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া স্বর্ণমুদ্রাগুলো ৪০০ বছরের পুরোনা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি এক দশক ধরে একটি বাড়িতে বসবাস করছেন। বাড়িটা বেশ পুরোনো আমলের। তাই তাঁরা বাড়িটি সংস্কারে হাত দেন। সংস্কারকাজে রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়তেই চোখ কপালে ওঠে ওই দম্পতির। বেরিয়ে আসে একের পর এক প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা। এ যেন রূপকথার গল্পের গুপ্তধন পাওয়ার মতোই ঘটনা। এখন এসব স্বর্ণমুদ্রা নিলামে তুলবেন তাঁরা।

ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের নর্থ ইয়র্কশায়ারে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে ওই দম্পতি ১টি-২টি নয়, ২৬৪টি স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছেন। স্বর্ণমুদ্রাগুলো ৪০০ বছরের পুরোনো।

এসব স্বর্ণমুদ্রা নিলামকারী প্রতিষ্ঠান স্পিঙ্ক অ্যান্ড সনকে দিয়েছেন তাঁরা। প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই স্বর্ণমুদ্রাগুলো নিলামে তুলবে। ওই দম্পতির আশা, এসব স্বর্ণমুদ্রা ২ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হতে পারে। তবে ওই দম্পতির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি।

স্পিঙ্ক অ্যান্ড সনের কর্মকর্তা গ্রেগরি এডমন্ড বলেন, এটা অসামান্য একটি আবিষ্কার। ঠিক যেন রূপকথার গল্প। তিনি আরও জানান, ওই দম্পতির বাড়ি নর্থ ইয়র্কশায়ারের এলার্বিতে। তাঁদের বাড়িটি ১৮ শতকে বানানো।

প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রাগুলো বাড়িটির রান্নাঘরের মেঝের নিচে একটি টিনের কৌটার মধ্যে ছিল। কৌটাটি ঢালাই করা মেঝের ৬ ইঞ্চি নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। এত সময় পর এসে সংস্কারের জন্য রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছে স্বর্ণমুদ্রাভর্তি সেই টিনের কৌটা।

টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বর্ণমুদ্রাগুলো ১৬১০ থেকে ১৭২৭ সালের মধ্যে ব্যবহার করা হতো। তখন ইংল্যান্ডে রাজা প্রথম জেমস ও প্রথম চার্লসের শাসনামল ছিল।

ওই সময়ে নর্থ ইয়র্কশায়ারের এই এলাকাতে ধনী ব্যবসায়ী ও অভিজাত ব্যক্তিরা বসবাস করতেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদেরই বংশধরদের কেউ ওই বাড়ির মেঝের নিচে স্বর্ণমুদ্রাগুলো পুঁতে রাখতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।