পুতিনের প্রতি ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইউরোপের নেতাদের

একান্ত বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (বাঁয়ে), ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক (ডানে), ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ডান থেকে দ্বিতীয়) এবং ইউরোপীয় অন্য নেতারা। আজ শনিবার ইউক্রেনের রাজধাী কিয়েভেছবি: এএফপি

আগামী সোমবার থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাতে একমত হয়েছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে ইউক্রেন।

দেশগুলোর নেতারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে এ প্রস্তাব করা হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তিন বছর পার হলেও ইউক্রেনে হামলা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কিয়েভের পক্ষ থেকে দেওয়া এ ধরনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা। মস্কো আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, পশ্চিমা দেশগুলো যদি কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই।

ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে। ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপও এর মধ্যে রয়েছে। চলতি বছর বসন্তে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করে রাশিয়া।

আরও পড়ুন

গত শুক্রবার কিয়েভে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সতর্ক করে বলেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে একটি ‘বড় ধরনের বিমান হামলা’ হতে পারে।

এর মধ্যে গতকাল জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিগা এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, পাঁচ নেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।

আন্দ্রেই সিবিগা আরও বলেন, ইউক্রেন ও সব মিত্রদেশ সোমবার থেকে শুরু করে অন্তত ৩০ দিনের জন্য স্থল, আকাশ, সমুদ্রে পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুন

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেকোনো সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির সময় রাশিয়া চাইবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করুক।

পেসকভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে অস্ত্রসহায়তা বন্ধ না করলে তাঁরা সুবিধা পাবেন না। ইউক্রেন পূর্ণমাত্রায় সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখবে এবং নতুন সেনাদের ফ্রন্টলাইনে পাঠাতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন এ সময়ে নতুন সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে ও সেনাদের বিশ্রাম দেওয়ার কাজে ব্যবহার করবে। তাহলে আমরা কেন ইউক্রেনকে এমন একটি সুবিধা দেব?’