কেনিয়ার জঙ্গলে গাছের ওপরে ঘরে ওঠার সময় ছিলেন রাজকন্যা, নেমে এলেন রানি হয়ে

১৯৫২ সালে বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় এলিজাবেথ উত্তরাধিকারী হিসেবে ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন। তিনি টানা সাত দশক ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ২০২২ সালের জুনে তিনি তাঁর সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেন। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ওই বছরেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। আজ ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের আয়োজন।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আসীন হওয়ার ৭০ বছর পূর্তিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে একটি পেইন্টিং দেখছেন রয়েল কালেকশন ট্রাস্টের এক কর্মী ছবি:রয়টার্স ফাইল ছবি

১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। ব্রিটিশ রাজকন্যা দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স তখন মাত্র ২৫ বছর। তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। বাবা অসুস্থ থাকায় তাঁর হয়ে স্বামী ফিলিপকে নিয়ে কমনওয়েলথ সফরে বের হয়েছিলেন এলিজাবেথ। সেই সফরের প্রথম গন্তব্যই ছিল কেনিয়া। তখন কেনিয়া ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ।

সফরকালে এলিজাবেথ ও ফিলিপ কেনিয়ার গভীর বনে একটি ট্রি হাউসে ছিলেন। গাছের ওপর বসে বন্য প্রাণী পর্যবেক্ষণ করছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে হঠাৎ করে খবর আসে, কয়েক হাজার মাইল দূরে যুক্তরাজ্যে বাবা রাজা জর্জ মারা গেছেন। আর সেই মুহূর্ত থেকেই ব্রিটিশ রাজকন্যা এলিজাবেথ হয়ে যান ব্রিটিশ রানি। এরপর ৭০ বছর ছিলেন রাজ সিংহাসনে।

প্রকৃতিবিদ ও শিকারি জিম করবেট রাজদম্পতিকে ওই ট্রি হাউসে সঙ্গ দিয়েছিলেন। ওই ট্রি–টপস হোটেলের পরিদর্শক বইয়ে তিনি লিখেছিলেন: ‘বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবার এক তরুণী একদিন রাজকন্যা হিসেবে গাছে উঠলেন, একে তাঁর জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করলেন এবং পরদিন গাছ থেকে নেমে এলেন এক রানি হয়ে।’

সিংহাসনে বসাটাও ছিল অপ্রত্যাশিত

১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন মা–বাবার প্রথম সন্তান। তাঁর বাবা প্রিন্স আলবার্ট তখন ডিউক অব ইয়র্ক ছিলেন। পরে তিনি রাজা ষষ্ঠ জর্জ হিসেবে রাজকার্য চালিয়েছেন। দ্বিতীয় এলিজাবেথের মায়ের নাম ছিল এলিজাবেথ বোয়েস লিয়ন।

পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় এলিজাবেথকে আদর করে লিলিবেট বলে ডাকতেন। তাঁর জন্মের ৪ বছর পর ১৯৩০ সালে বোন মার্গারেটের জন্ম হয়।

দ্বিতীয় এলিজাবেথের যখন জন্ম হয়, তখন তিনি ছিলেন ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের তৃতীয় উত্তরসূরি। রাজা পঞ্চম জর্জ ছিলেন তাঁর দাদা। তাঁর বাবা ছিলেন দাদার দ্বিতীয় সন্তান এবং সিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরসূরি। আর প্রথম উত্তরসূরি ছিলেন চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড। সেদিক থেকে দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ সিংহাসনে বসার কোনো সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে।

দাদা পঞ্চম জর্জের মৃত্যুর পর ১৯৩৬ সালে তাঁর চাচা এডওয়ার্ড রাজ সিংহাসনে বসেন। তবে তিনি বেশিদিন ক্ষমতায় থাকেননি। বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক মার্কিন নারীকে বিয়ে করতে তিনি রাজপদবি ছাড়েন। রাজা হিসেবে অষ্টম এডওয়ার্ডের পদত্যাগের পর সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ। আর এলিজাবেথ তখন হয়ে যান সিংহাসনের প্রথম উত্তরসূরি।

রাজদপ্তরের লেখক এবং ইতিহাসবিদ সারাহ গ্রিস্টউডের মতে, ষষ্ঠ জর্জ আগে থেকে ধরেই নিয়েছিলেন, বড় ভাই এডওয়ার্ডই রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাই হঠাৎ রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মতো প্রস্তুতি তাঁর ছিল না। রাজা হওয়ার পর তিনি দৃঢ়সংকল্প করেন যে মেয়ে এলিজাবেথকে অন্তত ভালোভাবে প্রস্তুত করে তুলবেন।

এলিজাবেথকে ব্যক্তিগতভাবে পড়াতেন ইটনের প্রভোস্ট। তিনি তাঁকে ব্রিটিশ ও মার্কিন সংবিধান শেখাতেন। পাশাপাশি এক ফরাসি শিক্ষক তাঁকে সাবলীল ফরাসি ভাষাও শিখিয়েছিলেন—যা পরে কানাডার ফরাসিভাষী জনগণের রানি হিসেবে তাঁর জন্য বিশেষ কাজে আসে।

আরও পড়ুন

বোনের সঙ্গে সম্পর্ক

দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং বোন মার্গারেটের মধ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে দুই বোনের কেউ–ই স্কুলে যাননি। বাড়িতেই টিউটর এসে তাঁদের পড়াতেন। বাবা ষষ্ঠ জর্জ রাজা হওয়ার পর অনিচ্ছা সত্ত্বেও এলিজাবেথ ও মার্গারেট তাঁদের মা–বাবার সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে চলে যান। এলিজাবেথ তখন আর নির্ভার রাজকন্যা হয়ে থাকতে পারলেন না। তিনি ভবিষ্যৎ দায়িত্বের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর তিনি বোনের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ কম পেতেন। রাজদপ্তরের ইতিহাসবিদ ক্যারোলিন হ্যারিসের ভাষায়, ‘মার্গারেট চাইতেন যেখানে এলিজাবেথ থাকবেন, তাকেও সেখানে থাকতে দেওয়া হোক। আর তাই এলিজাবেথ যখন ইটনে পড়াশোনার জন্য যেতেন, মার্গারেটের কাছে তা কষ্টকর ছিল। কারণ, তারা সবকিছু একসঙ্গেই করতেন।’

গ্রিস্টউড বলেন, দায়িত্বটা কঠিন হলেও এলিজাবেথ ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছিলেন সামনে কী আসছে এবং তা মেনে নিয়েছিলেন। তরুণী রাজকন্যা প্রহরীদের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতেন, যাতে তারা অস্ত্র তোলে। তখন থেকেই তাঁর মনে হতো, তাঁর জীবনের যেন নির্দিষ্ট পথে গড়ে দেওয়া হয়েছে।

যেভাবে বাইরের মানুষের সঙ্গে মিশতে শুরু করেন

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে জার্মানি পোল্যান্ডে আক্রমণ করলে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তখন পরিবারটি বালমোরালে ছুটিতে ছিল। কোথায় থাকা নিরাপদ হবে বুঝতে না পেরে রাজা জর্জ ষষ্ঠ ও রানি লন্ডনে ফিরে যান। এলিজাবেথ ও মার্গারেটকে রেখে যান ধাত্রীদের কাছে। কিছুদিন স্যান্ড্রিংহ্যামে থাকার পর দুই রাজকন্যাকে উইন্ডসরে নিয়ে যাওয়া হয়। যুদ্ধকালে প্রায় পুরো সময়ই তারা সেখানেই ছিলেন।

যুদ্ধের বছরগুলোতেই শুরু হয় এলিজাবেথের প্রকাশ্য জীবন। ১৯৪০ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি প্রথমবার বিবিসির চিলড্রেনস আওয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার বোন মার্গারেট রোজ আর আমি তোমাদের কষ্ট বুঝতে পারি। কারণ আমরাও জানি, সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কেমন লাগে।’

এলিজাবেথের এই বক্তব্য শুধু ব্রিটিশ শিশুদের মনোবলই বৃদ্ধি করেনি, বরং জার্মানির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের লড়াইয়ে শামিল হতে যুক্তরাষ্ট্রকেও উদ্বুদ্ধ করেছিল। গ্রিস্টউডের মতে, অল্প বয়সে এলিজাবেথ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটা কার্যত ‘সফট ডিপ্লোমেসি’।

১৯৪৩ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ মেয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথকে গ্রেনেডিয়ার গার্ডসের কর্নেল-ইন-চিফ ঘোষণা করেন। সেই বছরই তিনি প্রথমবারের মতো সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুই বছর পর, যুদ্ধের শেষ দিকে তিনি তাঁকে উইমেনস টেরিটোরিয়াল অক্সিলিয়ারি সার্ভিসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিতে বাবাকে রাজি করান। সেখানে তিনি একজন চালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

গ্রিস্টউডের মতে, এই সিদ্ধান্ত ছিল এলিজাবেথের সম্পূর্ণ নিজের। তিনি বলেছিলেন—‘যদি আমার বয়সী অন্য সব মেয়ের যুদ্ধের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে আমাকেও দেওয়া উচিত।’

১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হলে হাজারো মানুষ লন্ডনের রাস্তায় নেমে বিজয় উদ্‌যাপন করেন। সেই রাতে এলিজাবেথ আর মার্গারেটকে সাধারণ মানুষের ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়ার বিরল সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

রানি পরবর্তী সময়ে বলেছিলেন—সেটি ছিল তাঁর জীবনের সেরা রাতগুলোর একটি।

আরও পড়ুন

প্রেম–বিয়ে–সংসার

স্বামী ফিলিপের সঙ্গে দ্বিতীয় এলিজাবেথ
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রাজপরিবার ডার্টমাউথ নেভাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছিল। সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন গ্রিসের তরুণ প্রিন্স ফিলিপ।

ইতিহাসবিদ গ্রিস্টউডের ভাষায়, ‘সেই প্রথম দেখা থেকেই এলিজাবেথ বুঝে গিয়েছিলেন—কাকে তিনি চান।’

ফিলিপ দায়িত্ব থেকে ছুটি পেলেই এলিজাবেথকে দেখতে যেতেন। আর যুদ্ধ চলাকালে দুজন নিয়মিত একে অপরকে চিঠি লিখতেন।

গ্রিস্টউড বলেন, এলিজাবেথ তখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও ফিলিপের মামা লর্ড মাউন্টব্যাটেন এই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে উৎসাহ দিচ্ছিলেন।

তখন থেকেই ধারণা ছিল—একদিন ফিলিপ আর এলিজাবেথের বিয়ে হবেই।

যুদ্ধ শেষ হওয়ার দুই বছর পর ফিলিপ ও এলিজাবেথের আনুষ্ঠানিক বাগদান হয়। ওই বছরেরই শেষ দিকে বিয়ে। আর তারপর থেকে ২০২১ সালে ফিলিপের মৃত্যু পর্যন্ত টানা ৭৩ বছর একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। তাঁদের চার সন্তান–চার্লস (বর্তমান রাজা), প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও প্রিন্স এডওয়ার্ড।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তিম যাত্রা
রয়টার্স ফাইল ছবি

রাজতন্ত্রের উত্থান–পতনের সাক্ষী

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাবা রাজা জর্জ মারা গেলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন এবং কমনওয়েলথের প্রধান হন। তাঁর রাজ্যাভিষেক বিশ্বজুড়ে টিভি রেকর্ড গড়ে। এ ছাড়া রাজতন্ত্র ও ব্রিটিশ কমনওয়েলথের জন্য নতুন এক যুগের সূচনা করেন তিনি।

১৯৫০–এর দশকে রাজপরিবার ও রানির প্রতি মানুষের ব্যাপক শ্রদ্ধা ছিল। তবে, পরবর্তী কয়েক দশকে সম্প্রচারমাধ্যমের প্রসারের কারণে রাজপরিবারের অনেক গোপন ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসতে থাকে। রানির সন্তানদের বৈবাহিক সমস্যা এবং এ–সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির বিষয়গুলো গণমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা করে নেয়। তবে এরপরও মানুষ রানির কারণে রাজপরিবারের প্রতি উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন।

রানি কমনওয়েলথকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তাঁর কাজের ওপর খুব জোর দিয়েছিলেন। কারণ, যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে কঠিন কাজ। অনেক দেশ ব্রিটিশ উপনিবেশমুক্ত হয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। তবে কমনওয়েলথকে সত্যিকারের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন।

নব্বইয়ের দশকে কিছু সমস্যায় পড়লেও ২০০০ সালের পরে এসে রানির জনপ্রিয়তা আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর শাসনকালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজনে খ্রিষ্টান হিসেবেই তাঁর বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেন রানি।

তবে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধান হিসেবে ভূমিকায় থাকলেও রানি এলিজাবেথ সব ধর্মের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান রানি হলেও যুক্তরাজ্যের সরকারব্যবস্থার প্রধান প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭০ বছরের শাসনামলে যুক্তরাজ্য ১৬ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে।

বিশ্ববাসীর কাছে রানি ছিলেন বিপুল সম্মানের পাত্র। যে দেশে তিনি সফরে গেছেন, সেখানেই পেয়েছেন রাজকীয় সম্ভাষণ। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর লন্ডন থেকে অনেক দূরে স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনশায়ারের বালমোরাল প্যালেসে মৃত্যুবরণ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

মৃত্যুর পরদিন থেকে টানা ১০ দিনের জাতীয় শোক পালন শেষে তাঁকে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে ও রাজকীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

৭০ বছর আগে যে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর অভিষেক, সেখানেই তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর আগে ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানির কফিন রাখা হয়েছিল তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

তথ্যসূত্র: স্কাই নিউজ, এএফপি, বিবিসি