ভাগনারকে অর্থায়ন করতে পারে বেলারুশ সরকার

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়নে এ দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে ভাগনার যোদ্ধারা বেলারুশে অবস্থান করছেন।

ভাড়াটে সেনাদল ভাগনার গ্রুপ সম্মতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিদ্রোহের পর রাশিয়া আর ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারকে অর্থায়ন করছে না। এ ক্ষেত্রে বেলারুশ এই প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়ন করতে পারে এমন ‘সম্ভাবনা’ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বিবৃতিতে এমন মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গত জুনে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একাধিক বার্তায় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ভাগনারের অন্যান্য ব্যবসায়িক স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে রাশিয়া।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘যদি রুশ সরকার ভাগনারকে আর অর্থায়ন না করে, সে ক্ষেত্রে বেলারুশ কর্তৃপক্ষই দ্বিতীয় সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত অর্থায়নকারী।’ মন্ত্রণালয় মনে করছে, বেলারুশের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয়ের কারণ হতে পারে এই ভাগনার গ্রুপ।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ পরিস্থিতিতে ভাগনার সম্ভবত কাজের পরিধি কমিয়ে আনতে পারে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দিকে যেতে পারে। মূলত আর্থিক এই চাপের সময়ে কর্মীদের বেতনের ক্ষেত্রে যে ব্যয়, সেটার লাগাম টেনে ধরাই হবে এর উদ্দেশ্য।

বিদ্রোহের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী ভাগনার যোদ্ধাদের বেলারুশে স্থানান্তর করা হয়। এরপর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, দেশটির সেনাদের ভাগনার কমান্ডাররা প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।

রুশ হামলায় নিহত ৭

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল রোববার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বেশ কয়েকটি চেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে রুশ বাহিনী।

খেরসনের শিরোকা বাল্কা গ্রামে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত পাঁচজনের মধ্যে ১২ বছর বয়সী ভাই ও তার ছোট বোন এবং তাদের মা-বাবা রয়েছেন। বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগোর ক্লিমেঙ্কো এ কথা জানিয়েছেন। পৃথক বিবৃতিতে ক্লিমেঙ্কো জানান, স্তানিস্লাভ গ্রামে হামলায় ৫৭ ও ৭১ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও এক নারী আহত হয়েছেন।

কার্চ সেতুতে হামলার চেষ্টা

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিমিয়ার কার্চ সেতুতে হামলার জন্য দুটি রকেট নিক্ষেপ করেছিল ইউক্রেন। রাশিয়ার দাবি, সেতুতে আঘাত হানার আগে রকেট দুটি ধ্বংস করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কার্চ সেতুর পাশ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। পরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কার্চ সেতু লক্ষ্য করে দুটি এস-২০০ রকেট নিক্ষেপ করেছিল কিয়েভ। রকেট দুটি ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।

তবে রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন সরকার। দখলকৃত ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কার্চ সেতু। ক্রিমিয়া সেতু নামেও এটি পরিচিত।