অভিষেকে কী খাওয়াবেন রাজা চার্লস

রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের খাবারের মেনুতে থাকবে ব্রিটিশ শেফ অ্যাডাম হ্যান্ডলিংয়ের তৈরি স্ট্রবেরি অ্যান্ড জিঞ্জার ট্রিফল
ছবি: করোনেশনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন কনসর্ট ক্যামিলার আনুষ্ঠানিক অভিষেক আজ শনিবার। এতে অনেক বিশ্বনেতাসহ দুই হাজারের মতো অতিথি উপস্থিত থাকবেন। অবশ্য ১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেকে অতিথি ছিলেন আট হাজার।

ব্রিটিশ শেফ গ্রেগ ওয়ালেশের তৈরি প্রন ট্যাকোস উইথ পাইনঅ্যাপল সালসাও থাকবে
ছবি: করোনেশনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ওই দিন রাজা, রানি ও অতিথিদের জন্য ভোজে কী কী থাকবে, তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এই জল্পনা‍কল্পনা নিয়ে দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান চায়ের স্বাদযুক্ত ডোনাট, বিশেষভাবে তৈরি স্পার্কলিং ওয়াইন, বিশেষ স্টিকারসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারে ছাড়ছে। ব্যবসাও করছে তারা। তবে রাজ্যাভিষেকের উৎসবে কোন কোন খাবার থাকছে, তা সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে।

লে কর্ডন ব্লিউ লন্ডন’স কুলিনারি স্কুলের তৈরি করোনেশন চিকেন। লে কর্ডন ব্লিউ লন্ডন’সের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ব্রিটেনের রাজপরিবারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও পোস্টে রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিক উৎসবের খাবারের রেসিপিও ঘোষণা করা হয়েছে। রেসিপির মধ্যে পালংশাক, মটরশুঁটি, পনির ও সুগন্ধিযুক্ত ভেষজ ট্যারাগন অন্তর্ভুক্ত আছে।

রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে কন্টিনেন্টাল খাবারে স্ন্যাকস হিসেবে কিশ থাকবে
ছবি: করোনেশনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে উপমহাদেশীয় খাবারে স্ন্যাক্স হিসেবে কিশ থাকবে। মুচমুচে হালকা প্যাস্ট্রিতে পালংশাক, মটরশুঁটি ও সুগন্ধিযুক্ত ভেষজ ট্যারাগনের সমন্বয়ে তুলতুলে স্বাদের এই কিশ তৈরি করা হবে। দুপুরের খাবারে অন্যান্য মেনুর সঙ্গে গ্রিন সালাদ ও সেদ্ধ নতুন আলু দিয়ে গরম বা ঠান্ডা খাবারের আয়োজন থাকবে।

বিশেষ রেসিপিটি দিয়েছেন চিফ রয়্যাল শেফ মার্ক ফ্লানাগান। এ ছাড়া থাকবে ২০১৫ সালে গ্রেট ব্রিটিশ বেক অব বিজয়ী তারকা শেফ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হুসাইনের রেসিপিও।

ব্রিটিশ বেকার মার্থা কলিসনের তৈরি করোনেশন ক্রাউন স্কনস
ছবি: করোনেশনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

খাবারের মেনুতে যেসব থাকবে, সেগুলোর মধ্যে আছে—ব্রিটিশ শেফ মার্ক ফ্লানাগানের তৈরি করোনেশন কিশ। এটি কাস্টার্ড, পনির, মাংস, সামুদ্রিক পণ্য দিয়ে বানানো কেকজাতীয় খাবার। ব্রিটিশ শেফ গ্রেগ ওয়ালেশের তৈরি প্রন ট্যাকোস উইথ পাইনঅ্যাপল সালসা চিংড়ি মাছ ও আনারস দিয়ে বানানো টাকো। ব্রিটিশ শেফ অ্যাডাম হ্যান্ডলিংয়ের তৈরি স্ট্রবেরি অ্যান্ড জিঞ্জার ট্রিফল। চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন শেফ কেন হমের তৈরি রোস্ট র‌্যাক অব ল্যাম্ব উইথ এশিয়ান-স্টাইল মেরিনেড এশীয় ধরনে বানানো ভেড়ার মাংস। ব্রিটিশ শেফ নাদিয়া হুসাইনের তৈরি করোনেশন অবারজিন। লে কর্ডন ব্লিউ লন্ডন’স কুলিনারি স্কুলের তৈরি করোনেশন চিকেন। ব্রিটিশ বেকার মার্থা কলিসনের তৈরি করোনেশন ক্রাউন স্কনস এবং মার্কিন ফুড স্টাইলিস্ট ও বেকার ক্লেয়ার তাকের তৈরি ব্রাউন সুগার ভিক্টোরিয়া স্পঞ্জ।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শেফ নাদিয়া হুসাইনের তৈরি করোনেশন অবারজিন
ছবি: করোনেশনের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের যখন রাজ্যাভিষেক হয়, তখন খাবারের মেনুতে ছিল করোনেশন চিকেন। ক্রিমি কারি সসের এমন মুরগির মাংস প্রায়ই স্যান্ডউইচে পাওয়া যায়, তবে সালাদেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ‘প্লাটিনাম জুবিলি’র (৭০ বছর পূর্তি) অনুষ্ঠানে বিশেষ খাবার হিসেবে ছিল ‘প্লাটিনাম পুডিং’। এটি ছিল লেবু ও বাদামের মিষ্টিজাতীয় একটি খাবার।