বিকল্প পথে সাত লাখ টন শস্য রপ্তানি ইউক্রেনের

রাশিয়ার বাধা সত্ত্বেও কৃষ্ণসাগরে নতুন রপ্তানি পথ ব্যবহার করছে কিয়েভ।

আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশের উদ্দেশ্য খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছেড়ে গেছে
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার বাধা সত্ত্বেও কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের নতুন রপ্তানি পথ ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে ইউক্রেন আফ্রিকা ও এশিয়ার বাজারের উদ্দেশ্যে এই মানবিক করিডর চালু করে। ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ পথ ব্যবহার করে আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশের উদ্দেশ্য খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছেড়েছে। গত আগস্ট মাসে কৃষ্ণসাগর ব্যবহার করে ইউক্রেনের খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ রপ্তানির চুক্তি থেকে রাশিয়া বেরিয়ে গেলে এ পথ চালু করা হয়।

মাইকোলা সোলস্কির বরাতে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় গত সোমবার জানায়, নতুন করিডর চালুর পর থেকে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোয় ৩৮টি জাহাজ এসেছে এবং ৩০টি জাহাজ ছেড়ে গেছে। তবে এসব জাহাজের সব কটিতে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে করা কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি গত জুলাই মাসে ভেঙে যায়। রাশিয়া এ চুক্তি ভেঙে দেয়। তারা দাবি করে, তাদের খাদ্যশস্য ও সারা রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা তুলে নেওয়ার দাবি মানা হয়নি।

এই চুক্তির অধীনে যে করিডর চালু করা হয়েছিল, তাতে মাসে ৩০ লাখ টন খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারত ইউক্রেন। অন্যান্য রপ্তানিপথ ব্যবহার করে মাসে ৬০ লাখ টন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছিল।

সোলস্কি বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের ছোট নদীবন্দর ব্যবহার করে তারা ২৩ লাখ টন কৃষিপণ্য রপ্তানি করেছেন। সব মিলিয়ে গত মাসে তাদের খাদ্য রপ্তানি ছিল ৩৬ লাখ টন।

ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষি আমাদের অর্থনীতির মূল ক্ষেত্র। আমাদের কৃষিকে বাঁচাতে প্রতি মাসে আমাদের ৬০ লাখ টন খাদ্য রপ্তানি করতে হবে। আর তা সম্ভব কেবল ওদেসা অঞ্চলের গভীর সমুদ্রবন্দরগুলো পুরোপুরি চালু করা গেলে। আমরা এখন বেশি জাহাজ বন্দর ছাড়ার প্রবণতা দেখছি। আশা করছি, তা চালু থাকবে।’

রুশ বাহিনীর হামলায় আহত ৮

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের খেরসন ও খারকিভ অঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিমান হামলায় আটজন আহত হয়েছে। খারকিভের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ বাহিনীর হামলায় একটি আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কিয়েভ ও মস্কো পরস্পর ড্রোন হামলা নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করেছে।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, ছয়টি শাহেদ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। তবে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনের তিনটি চালকবিহীন নৌকা কৃষ্ণসাগরে শনাক্ত করে তা ধ্বংস করা হয়েছে।