ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে বন্ধ রাশিয়ার দাগেস্তান বিমানবন্দর

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। রোববার রাশিয়ার দাগেস্তানে
ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

ইসরায়েল থেকে একটি ফ্লাইট আসছে—এমন গুজবে রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের বিমানবন্দরে বিক্ষোভ হয়েছে। এর জেরে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটেছে।

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন এবং রানওয়েতে ছোটাছুটি করেন। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে।

এ অবস্থায় নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন

রাশিয়ার দাগেস্তান মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল। দাগেস্তানের গভর্নর বলেছেন, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি ও ইজভেস্তিয়াতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ‘আল্লাহু আকবর’ বলে বিমানবন্দরের দরজা ও নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়েন। কেউ কেউ রানওয়েতে দৌড়াদৌড়ি করেন।

এর কিছুক্ষণ পর রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা রোসাভিয়াতসিয়া ঘোষণা দেয়, বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন

এক টেলিগ্রাম পোস্টে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে কতজন বা কারা আহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

গতকাল রাতে রোসাভিয়াতসিয়া জানায়, বিমানবন্দরটি থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

কয়েকটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘শিশু হত্যাকারীদের দাগেস্তানে কোনো জায়গা নেই।’

অন্য ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক মানুষ বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করছেন। আর বিমানবন্দরের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘ইসরায়েল আশা করে রুশ কর্তৃপক্ষ সব ইসরায়েলি নাগরিক ও ইহুদির সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। সহিংসতায় উসকানিদাতা ও দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’

আরও পড়ুন