শীর্ষ রুশ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। দুই রুশ কমান্ডার হলেন দেশটির সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সের্গেই কোবিলাশ (৫৮) এবং নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভ (৬১)।

তাঁদের নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে দ্বিতীয় দফায় রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আইসিসি। এর আগে গত বছরের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ার শিশু বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা–বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

আইসিসিকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি রাশিয়া। এর মানে আইসিসির এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার ফলে বিচারের মুখোমুখি করতে এসব ব্যক্তিকে কখনো প্রত্যর্পণ করার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

আইসিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যে দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ আছে। তাদের অধীনস্থ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইউক্রেনে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিলেন।  

আইসিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠোমা নিশানা করে এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

আইসিসি বলেছে, বেসামরিক স্থাপনায় সরাসরি হামলা করার নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে এই দুই ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধ করেছেন। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আছে।

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিকে মস্কো বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে মস্কো এর আগে একাধিকবার বলেছে, ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে না তারা।

গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘের ২০০২ সালের একটি সনদ অনুযায়ী আইসিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যখন কোনো রাষ্ট্র বিচার করতে পারে না বা করে না তখন তাতে হস্তক্ষেপ করে এই আদালত।

বিশ্বের ১২৩টি দেশ আইসিসিকে স্বীকৃতি দিলেও রাশিয়া, চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি।