বিবিসির বিশ্লেষণ
অপ্রত্যাশিত এই মুহূর্ত কি বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ের বিভাজনকে তুলে ধরছে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বিবিসির বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস গতকাল রোববার রাতে পদত্যাগ করেছেন। বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ জোড়া দেওয়ার বিষয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্যকে যুক্ত করে ওই তথ্যচিত্রে প্রচার করা হয়েছে এবং সেটি মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। একই সময়ে বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে সাংবাদিক কেটি রাজালের একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে। রাজাল বিবিসিতে সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তিনি বিবিসির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে বিশ্লেষণটি করেছেন। রাজালের সেই বিশ্লেষণ প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ভূকম্পনের মতোই এটি আকস্মিক এক ঘটনা। বিবিসি নিউজের মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা—দুজনকে একই সময়ে হারানোর এমন ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি। এটা বিবিসির ইতিহাসে এক অস্বাভাবিক মুহূর্ত।
এ ঘটনাকে ছোট করে দেখলে চলবে না।
আপাতদৃষ্টে টিম ডেভির পদত্যাগকে কিছুটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছিল, এত চাপের এই দায়িত্বে তিনি আর কত দিন থাকতে চান, তা নিয়ে হয়তো ভাবাভাবি করছিলেন।
একের পর এক বিতর্ককে কেন্দ্র করে চলতি বছর আমি যখনই তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তখন তাঁকে আগের মতো প্রাণবন্ত মনে হয়নি।
নিজের পদত্যাগসংক্রান্ত বিবৃতিতে টিম ডেভি অনেক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ও পেশাগতভাবে প্রবল চাপের মধ্যে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
আমার ধারণা, একের পর এক সংকটের পর সর্বশেষ বিতর্কটি তাঁর সহ্যের সীমারেখা ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে তিনি গাজা-সংক্রান্ত দুটি তথ্যচিত্র ও বব ভিলেন-গ্লাস্টনবারির ইস্যুসহ একাধিক সংকট সামলেছেন। কিন্তু এবার আরেকটি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট মনোবল আর তাঁর মধ্যে অবশিষ্ট ছিল না।
বিবিসির যোগাযোগ বিভাগের সাবেক প্রধান জন শিল্ড আমাকে বলেছেন, ‘মহাপরিচালকের পদটা পেশাগত জীবনের অন্যতম কঠিন দায়িত্ব।’
মনে হচ্ছে, বিবিসি বোর্ড ও সংবাদ বিভাগের মধ্যে বিরোধ আছে। কেউ কেউ বলছেন, বিবিসি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ পক্ষপাত মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যা ঘটেছে তা কি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক অভিযান কি না, যার হাত ধরে দুটি বড় পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।
শিল্ডের মতে, টিম অনবরত চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষ একজন নেতা, যিনি বাস্তব পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু একটা সময়ের পর এই অবিরাম চাপ সহ্য করা সম্ভব হয় না।
আমাকে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে টিম ডেভি যখন সহকর্মীদের তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানান, তখন সত্যিকারের ধাক্কাটা লেগেছিল।
ডেবোরাহ টারনেসের বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, তিনি (টারনেস) নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেছেন।
প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প–সংক্রান্ত তথ্যচিত্রটি নিয়ে বিতর্ক চলছে। ওই বিতর্কের কারণে বিবিসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়ে টারনেস বলেছেন, ‘চূড়ান্ত দায়টা আমার এবং আমি গত রাতে মহাপরিচালকের কাছে পদত্যাগের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’
কিন্তু যেকোনো পদত্যাগের ঘটনায়, বিশেষ করে একই সময়ে দুটি পদত্যাগের ঘটনায় মনে হচ্ছে খালি চোখে যা দেখা যাচ্ছে শুধু তা নয়, এর পেছনে আরও কিছু আছে। এ ছাড়া বিবিসি বোর্ডের কার্যক্রম ও গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি গল্পও সামনে আসছে। যা ঘটেছে, তাতে বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
মনে হচ্ছে, বিবিসি বোর্ড ও সংবাদ বিভাগের মধ্যে বিরোধ আছে। কেউ কেউ বলছেন, বিবিসি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যা ঘটেছে, তা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক অভিযান কি না, যার হাত ধরে দুটি বড় পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বপ্রথম টেলিগ্রাফে এ–সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। আমি বুঝতে পারছি না, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এমন শিরোনাম দেখার পরও বিবিসি কেন চুপ করে ছিল। প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়ে তারা কেন কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি?
অভিযোগগুলোকে দুটি আলাদা ঘটনা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আলাদাভাবে সামাল দেওয়ার দরকার ছিল।
প্রথমে আসি প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ভাষণ সম্পাদনার বিষয়ে। দ্রুত ক্ষমা প্রার্থনা করে হোক অথবা যথাযথভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে হোক, তাৎক্ষণিকভাবে এর সমাধান করা প্রয়োজন ছিল। ভুল না হয়ে থাকলে বিবিসি বলতে পারত, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করেনি।
এর মধ্য দিয়ে বিবিসি তাদের নিজেদের সাংবাদিকতা চর্চার পক্ষে আরও দৃঢ় অবস্থান দেখানোর সুযোগ পেত। বিবিসির বিরুদ্ধে এখন অভ্যন্তরীণ পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। নিরপেক্ষতার অভাবের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তাদের সংবাদসংক্রান্ত কার্যক্রমের মূল জায়গায় আঘাত করছে।
একই সময়ে দুটি পদত্যাগের ঘটনায় মনে হচ্ছে খালি চোখে যা দেখা যাচ্ছে শুধু তা নয়, এর পেছনে আরও কিছু আছে। এ ছাড়া বিবিসি বোর্ডের কার্যক্রম ও গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি গল্পও সামনে আসছে। যা ঘটেছে, তাতে বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্যানোরামা–সংক্রান্ত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা অথবা দৃঢ় প্রতিবাদ জানানোর পর বিবিসি প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাতসহ অন্য অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যানের চেষ্টা করতে পারত।
বিবিসি বলতে পারত, তারা সম্পাদকীয় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
তা না করে বিবিসি অভিযোগগুলো অমীমাংসিত অবস্থায় ফেলে রেখেছিল। আর তাতে আমরা এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি, যেখানে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বিবিসিকে ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করছে এবং তাতে মানুষ সায় দিচ্ছে।
বিবিসির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পেরেছি, প্যানোরামা–সংক্রান্ত বিতর্কের বিষয়ে কয়েকদিন আগেই একটি বিবৃতি প্রস্তুত করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পাদনাসংক্রান্ত বিতর্কটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিবিসি। তারা তাদের ব্যাখ্যায় বলতে চেয়েছিল, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার কোনো উদ্দেশ্য বিবিসির ছিল না। তবে বক্তব্যটি পর্যালোচনা করার পর মনে হয়েছে, দর্শকদের বোঝানোর জন্য সেখানে একটি সাদা ফ্ল্যাশ বা ওয়াইপ ব্যবহার করা উচিত ছিল। তাতে পরিষ্কার বোঝা যেত, সেটি বক্তৃতার দুটি পৃথক অংশ।
আমি জানতে পেরেছি, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ডেবোরাহ টারনেস ক্রমাগত ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে উঠছিলেন। কারণ, বিবিসি কর্তৃপক্ষের বাধার কারণে তিনি ক্ষমা চাইতে পারছিলেন না।
এর পরিবর্তে বিবিসি কর্তৃপক্ষ সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া কমিটির কাছে একটি চিঠি পাঠানোকেই সঠিক উপায় বলে বিবেচনা করেছে।
(অনেকে আমাকে বলেছেন, বিষয়টি এতটা সহজ ছিল না। প্যানোরামা সম্পাদনাটি যে ভুল হয়েছে, তা মেনে নিতে সংবাদ কর্তৃপক্ষের কিছুটা সময় লেগেছে। কীভাবে জবাব দেওয়া উচিত, তা নিয়ে সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।)
বিবিসির ভেতরে ও বাইরে অনেকেই মনে করছেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না দেওয়াটা গুরুতর ভুল ছিল। দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছিল। কিন্তু বিবিসি কর্তৃপক্ষ সরাসরি সেগুলো মোকাবিলা করছিল না।
আমি জানতে পেরেছি, গত বৃহস্পতিবার টারনেস টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সংকটের বিষয়ে আলোচনা করতে বোর্ডের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ কেউ বলেছেন, ওই বৈঠকে তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল।
একটি সূত্র এটিকে বিবিসির সাংবাদিকতা নিয়ে বোর্ড সদস্য ও উপদেষ্টাদের ক্রমাগত সমালোচনার চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। তারা বলেছে, ওই বোর্ড সদস্য ও উপদেষ্টাদের সবাই একই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আসা।
বোর্ড সদস্যরা বিবিসির সাবেক সম্পাদক রবি গিবের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের মেয়াদকালে ডাউনিং স্ট্রিটে যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গিব বর্তমানে বিবিসি বোর্ডের একজন সদস্য।
সানের সাবেক সম্পাদক এবং বর্তমানে বিবিসির উপস্থাপক ডেভিড ইয়েল্যান্ড এটিকে ‘সাম্রাজ্যহীন অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিবিসি বোর্ডকে দুর্বল করা হয়েছে এবং ‘এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের সম্পাদক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জনসেবা সম্প্রচার বিরোধীদের সঙ্গে কাজ করেছেন।’
তবে আরেকটি সূত্র এটিকে ব্যাখ্যা করেছে দুই বছরের ‘বিবিসি সাংবাদিকতার ওপর বোর্ড ও উপদেষ্টাদের ক্রমাগত সমালোচনার চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে, যাঁদের সবাই একই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসেছেন।’
ওই সূত্র রবি গিবের দিকে ইঙ্গিত করেন, যিনি সাবেক বিবিসি সম্পাদক, পরে থেরেসা মের ডাউনিং স্ট্রিটে যোগাযোগ পরিচালক ছিলেন এবং বর্তমানে বোর্ডের সদস্য।
সানের সাবেক সম্পাদক ও বর্তমানে বিবিসির উপস্থাপক ডেভিড ইয়েল্যান্ড মনে করেন, এটি অভ্যুত্থানের চেয়ে কম কিছু নয়। তাঁর দাবি, বিবিসি বোর্ডকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে এবং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদপত্রের সম্পাদক, এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।
তবে সানের আরেক সাবেক সম্পাদক কেলভিন ম্যাককেনজি অবশ্য বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পদত্যাগ করা সঠিক কাজ হয়েছে। তাঁর মতে, এটি এমন একটি সমস্যা, যা কখনো দূর হবে না।
কেলভিন ম্যাককেনজি মনে করেন, বক্তব্য সম্পাদনার এ ঘটনাটি ট্রাম্পকে মামলা করার সুযোগ দিতে পারত অথবা বিবিসিকে হোয়াইট হাউস থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া যেত। তিনি বলেন, ‘যদি সেই বিষয়ে (মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ) আপনাকে বিশ্বাস করা না যায়, তবে আর কী বিষয়ে আপনাকে বিশ্বাস করা যেতে পারে?’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেও প্রথমবার এই বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে তাঁর ভাষণ ‘পরিবর্তন বা বিকৃত’ করা এবং ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলার’ চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন।
টিম ডেভির বিবৃতিতে উল্লিখিত একটি বাক্য আমার কাছে বিশেষ বলে মনে হয়েছে। তিনি বিবিসি নিয়ে কথাটি বলেছেন। সেটি হচ্ছে, ‘আমাদের এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত, এটাকে হাতিয়ার করা উচিত নয়।’
এখন কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেছেন, একই সময়ে মহাপরিচালক ও সংবাদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা কি এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিবিসিকে হয়তো অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।