চীনকে খ্যাপানোর পথ খুঁজে বেড়ায় যুক্তরাষ্ট্র: সের্গেই লাভরভ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ
ছবি: রয়টার্স

মস্কো ও বেইজিংয়ের যৌথ সামরিক মহড়ার উচ্চকিত প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এ মহড়াকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। লাভরভ বুধবার মস্কোয় সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।  

রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করলেও এ ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানীও বেইজিং। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সামরিক পদক্ষেপ’ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে উদ্বেগ আছে।

এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, তিব্বত ও তাইওয়ানের মতো আরও অনেক ইস্যুতে চীনকে কীভাবে ক্ষুব্ধ করে তোলা যায়, সেই উপায় খুঁজে বেড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। চীন এতটাই ক্ষমতাধর যে যুক্তরাষ্ট্র একা তাদের মোকাবিলা করতে পারছে না। তাই চীনবিরোধী ‘অ্যাজেন্ডা’ বাস্তবায়নে পুরো পশ্চিমা বিশ্বকে মাঠে নামিয়েছে তারা।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর চীন ও রাশিয়া তাদের কয়েক দশকের পুরোনো অনাস্থার সম্পর্ক ভুলে নিজেদের মধ্যে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। যুদ্ধের কয়েক দিন আগে ‘সীমাহীন অংশীদারত্ব’ নিয়ে একটি চুক্তি সই করে এ দুই দেশ। ইতিমধ্যে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ‘একঘরে’ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কও জোরদার করেছে চীন।      

তবে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করলেও এ ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানীও বেইজিং। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সামরিক পদক্ষেপ’ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে উদ্বেগ আছে।

গত মাসে পূর্ব চীন সাগরে রাশিয়া ও চীনের নৌবাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া চালায়। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তথ্যানুযায়ী, ‘সমুদ্রে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক পদক্ষেপ কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তা দেখানোর লক্ষ্যই এ যৌথ সামরিক মহড়া।’