শস্য রপ্তানিতে নতুন পথ ব্যবহারের কথা ভাবছে ইউক্রেন

শস্য রপ্তানিতে নতুন পথ ব্যবহারের কথা ভাবছে ইউক্রেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কৃষ্ণসাগরে বাধার মুখে পড়ে বিকল্প পথে খাদ্যশস্য রপ্তানির পথে হাঁটছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে বিকল্প ওই পথ দিয়ে একটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। এর পর থেকে পথটি ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে বলে ইউক্রেনের কৃষি-বাণিজ্যবিষয়ক একটি সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাশিয়া। বলা হয়েছিল, শস্য নিয়ে কোনো জাহাজ এই পথে গেলে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে। পরে এক চুক্তি আওতায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছে মস্কো। ফলে আবার শস্য সরবরাহে বাধার মুখে পড়েছে কিয়েভ।

এমন পরিস্থিতিতেই নতুন পথ ব্যবহারের উদ্যোগ ইউক্রেনের। পথটি হবে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ায় কাছে কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম উপকূল দিয়ে। গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর ওদেসা বন্দরে আটকে পড়া হংকংয়ের পতাকাবাহী একটি জাহাজ গত সপ্তাহে এই পথ ব্যবহার করে নিরাপদভাবে ইউক্রেন ছেড়েছে।

এ বিষয়ে কৃষি-বাণিজ্যবিষয়ক ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সংগঠন আজরারিয়ান কাউন্সিলের উপপ্রধান ডেনিস মারচাক বলেছেন, এই পথ দিয়ে এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পাড়ি দিয়েছে। এটি ভবিষ্যতে শস্য সরবরাহের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রাশিয়ার তিন অঞ্চলে ড্রোন হামলা

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাজধানী মস্কোসহ রাশিয়ার কালুগা ও বেলগোরোদ অঞ্চলে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ড্রোনগুলো ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। এসব হামলায় মস্কোয় দুজন আহত হয়েছেন। তবে কালুগা ও বেলগোরোদে কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।

হামলার বিষয়ে কালুগার গভর্নর ভ্লাদিসলাভ শাপশা বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেন, মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে কালুগার কিরোভস্কি শহরে ওই হামলা চালানো হয়। আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে তা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেলগোরোদের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাদকভ জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের সোলোমিনো গ্রামের কাছে তিনটি ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আজ মস্কোয় দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। মস্কোর গভর্নর আন্দ্রেই ভোরোবিয়ভ বলেছেন, ওই ড্রোন দুটির একটির ধ্বংসাবশেষ রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে ইস্ত্রা এলাকায় বাড়িঘরের কাছে গিয়ে পড়ে। এতে দুজন আহত হন।