জোট সরকার টেকাতে ব্যর্থ, পদত্যাগ করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী দ্রাগি

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি পদত্যাগ করেছেন
ছবি: রয়টার্স

জোটের শরিকদের সমর্থন না পেয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি পদত্যাগ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

দ্রাগির নেতৃত্বাধীন ঐক্যের সরকার ভেঙে গেলে পদত্যাগ করেন তিনি। এতে দেশটি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল। এর প্রভাব পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, দ্রাগির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্র প্রধান এবং তাঁকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিকেলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্টের।

জোটে বিভাজন দূর এবং নতুন করে ঐক্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোট আনার ঘোষণা দেন দ্রাগি। কিন্তু মূল শরিকদের তিনটি দল তাতে সায় না দিলে জোট সরকার ভেঙে পড়ে।

এই রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে ইতালি কয়েক মাসের স্থিতিশীলতা হারাল। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট দ্রাগি দায়িত্ব পালনকালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দিতে ইউরোপকে সহযোগিতা করেন।
এর আগে গত ১৪ জুলাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দ্রাগি। আস্থা ভোটে নিজ জোটভুক্ত দল ফাইভ স্টারের সমর্থন হারানোর পর তিনি এই ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন দ্রাগির পদত্যাগপত্র গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মাত্তারেলা।

ফাইভ স্টার পার্টি চেয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতিকে যেভাবে উসকে দিয়েছে, তাতে ভুক্তভোগী মানুষের জন্য সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানো হোক। তারা এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক খাতে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ প্রকল্প চেয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হননি দ্রাগি। মূলত এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতি ঘটে।

প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় ফের আস্থা ভোট আনার চেষ্টা করেন দ্রাগি। কিন্তু জোটের তিন শরিক সায় না দিলে সেটা আর সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। আগামী বছর ইতালিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন