৬০ বারের চেষ্টায় গাড়ি চালানোর পরীক্ষায় পাস

‘“পারিব না” এ কথাটি বলিও না আর...একবার না পারিলে দেখ শতবার।’ কবি কালীপ্রসন্ন ঘোষের ‘পারিব না’ কবিতার এই পঙ্‌ক্তিমালা সত্যি করে দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি। তিনি গাড়ি চালানোর তাত্ত্বিক বিষয়ের পরীক্ষায় কোনোভাবেই পাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু তাতে তিনি দমে যাননি। ১ বার, ১০ বার নয়; ৬০তম বারে গিয়ে তিনি উতরে গেছেন।

ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টির রেডরিচ শহরের এই বাসিন্দার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে এই পরীক্ষায় পাস করতে ৬০ ঘণ্টা এবং ১ হাজার ৪০০ ইউরো ব্যয় করতে হয়েছে।

 এএ ড্রাইভিং স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, গাড়ি চালানো শিখতে আসা ব্যক্তিদের হাতেকলমে পরীক্ষা দেওয়ার আগে তাত্ত্বিক বিষয়ে পাস করতে হয়। তাঁদের ৫০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে অন্তত ৪৩টির সঠিক উত্তর দিতে হয়। এরপর দেওয়া হয় ১৪টি ভিডিও ক্লিপ। সেগুলোতে থাকে নানা ধরনের ঝুঁকি, সেগুলো একজন চালক কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তা দেখাতে হয়। 

 ড্রাইভার অ্যান্ড ভেহিকেল স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সির (ডিভিএসএ) কাছে থাকা চলতি বছরের ছয় মাসের তথ্যে দেখা গেছে, অনেককেই ২০–৩০ বারও পরীক্ষায় বসতে হয়েছে। গুল শহরে এক ব্যক্তি ৫৮তম বারে, গুইল্ডফোর্ডে ৫৬তম বারে এবং টার্নব্রিজ ওয়েল শহরে ৫৪তম বারে একজন পাস করেছেন। প্রত্যেকবার পরীক্ষায় বসলে গুনতে হয় ২৩ পাউন্ড। একবার অনুত্তীর্ণ হলে পরেরবার পরীক্ষায় বসতে হলে মাঝখানে দিতে হবে অন্তত তিন দিনের বিরতি। আর একবার তাত্ত্বিক পরীক্ষা পাস করার পর যদি দুই বছরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাস না করে, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আবারও তাত্ত্বিক পরীক্ষায় বসতে হবে। 

পরিবহন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭–০৮ সালে তাত্ত্বিক পরীক্ষায় পাসের হার যেখানে ছিল ৬৫ শতাংশ, সেখানে ২০২২–২৩ সালে তা ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

এএ ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যামিরা বেনিৎজ বলেন, পরীক্ষা যে কঠিন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করার যে আগ্রহ, তা বিস্ময়কর।

 অনেকেই ভাবেন, এটি আর এমন কী, বসলেই পারা যাবে। কিন্তু বাস্তবে এটা সত্যি নয়। অনেকেই অন্য পরীক্ষার্থীদের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন, দণ্ডিত হয়েছেন।