শান্তির পথ এখনো অনেক দূরে: পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে শান্তির সম্ভাবনা খুবই কম। স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গুতেরেস। খবর এএফপির

শান্তি আলোচনা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা না থাকলেও রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির বাধা উত্তরণে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তবে গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানার বিষয়ে রাতারাতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে, এমনটা বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, শান্তির পথ এখনো অনেক দূরে। শিগগিরই এটা হবে বললে সেটা মিথ্যা বলা হবে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান চালানোর পর থেকে এ বিষয়ে নির্লিপ্ত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তা সত্ত্বেও সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে একদিন এ বিষয়ে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা করা সম্ভব হবে।

গুতেরেস বলেন, পণ্য রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য এবং রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানি বন্ধ ছিল। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে গত জুলাই মাসে এই রপ্তানিপ্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে ইউক্রেনের ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনের বন্দর থেকে খালাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। তবে রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্যপণ্য ও সার রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বর্তমানে রাশিয়ার কিছু খাদ্য ও সার রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে সেটা চাহিদা ও প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। এ কারণে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে কৃষ্ণসাগর হয়ে রাশিয়ার অ্যামোনিয়া রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অ্যামোনিয়া মূলত সার তৈরির অন্যতম একটি কাঁচামাল। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইউরোপের অনেক সার প্রস্তুতকারী কোম্পানি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বের সারসংকট ‘নাটকীয়’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী বছর বিশ্বজুড়ে এ সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।