যুদ্ধে ছয় মাসের মধ্যে বড় সাফল্য পেল রাশিয়া

সোলেদার শহরের দখল নিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পূর্ব ইউক্রেনের লবণখনির শহর হিসেবে পরিচিত সোলেদারের দখল নিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। রুশ বাহিনী শহরটির বেশির ভাগ এলাকা দখল করেছে—এমন খবরও আসছিল। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার পুরো শহরই নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে মস্কো।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোলেদার শহরটির দখল নিয়েছেন তাদের সেনারা। বিমান, গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ রুশ বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়েছে।

রুশ সেনাদের সোলেদার পুরোপুরি দখলে নেওয়ার দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তবে এ দাবি সত্য হলে ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে গত ছয় মাসের মধ্যে বড় কোনো অগ্রগতি পেল রুশ বাহিনী। আর শহরটি দখল করার ফলে দক্ষিণ–পশ্চিমে বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াও তাদের জন্য সহজ হবে।

বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষই। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন তারা বাখমুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সমরাস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া কোণঠাসা করে ফেলতে পারবে শহরটিতে অবস্থান করা বাকি ইউক্রেনীয় সেনাদের।

এর আগে গত বুধবার রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা বাহিনী ওয়াগনারও অবশ্য সোলেদার শহর ‘স্বাধীন’ করার দাবি করেছিল। তবে ওই দাবি উড়িয়ে দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ এখনো চলছে।

শুক্রবার মস্কোর সোলেদার দখলের দাবির আগেও একই কথা বলেছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের দাবি, বৃহস্পতিবার সারা রাত লড়াইয়ের পর তাদের সেনারা এখনো শহরটির দখল ধরে রেখেছেন। তবে মস্কোর দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি তারা।

এই দাবি–পাল্টাদাবির মধ্যে সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে রক্তক্ষয় কম হয়নি। বলা চলে, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে রক্তাক্ত যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর একটি ছিল এটি। কিয়েভের ভাষ্য, বোমার আঘাতে ধ্বংস হওয়া একটি শহরে অর্থহীন লড়াই চালিয়ে যেতে স্রোতের মতো সেনা পাঠিয়েছে মস্কো।

আরও পড়ুন

তবে রাশিয়ার সোলেদার দখল ইউক্রেন যুদ্ধে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তাঁদের একজন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিককের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি বাখমুত ও সোলেদার—দুই শহরই রাশিয়ার দখলে চলে যায়, তবে তা যুদ্ধে কৌশলগত কোনো প্রভাব ফেলবে না। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনীয়দের অবশ্যই থামানো যাবে না, কিংবা তাঁদের দমানো যাবে না।’

আরও পড়ুন