পুতিন আলোচনায় প্রস্তুত বলার পর বাড়ল হামলা

বড়দিনে ইউক্রেনের বাখমুত এলাকায় রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনছবি: রয়টার্স

বড়দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে বোমা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বড়দিনেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে পশ্চিমারা এতে সাড়া দেয়নি। এরপর ওইদিনই হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের

ইউক্রেনের শীর্ষ সেনা কমান্ড বলেছেন,  রাশিয়া গতকাল খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক এলাকায় ১০টির বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। কুপিয়ানস্ক-লিম্যান ফ্রন্টলাইনে ২৫টির বেশি শহরে শেল ছুড়েছে রাশিয়া। জাপোরিঝঝিয়ায় প্রায় ২০টি শহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালান পুতিন। মস্কো এটিকে বিশেষ অভিযান হিসেবে অভিহিত করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত  বড় ধরনের সংঘাত। যদিও গতকাল পুতিন আলোচনার কথা বলেছেন। তবে তাতে ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাত শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

গতকাল পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রোশিয়া ১-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে  বলেন, ‘আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধানের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এটা যাদের সঙ্গে আলোচনা হবে, তাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছি না। প্রত্যাখ্যান করছে তারা।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, পুতিনকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তাঁকে স্বীকার করতে হবে যে রাশিয়াই আলোচনা চায়নি। মিখাইলো টুইটে বলেন, রাশিয়া আলোচনা চায়নি। দায়িত্ব এড়াতে চেয়েছে।

আরও পড়ুন

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসার পর হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। আগেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ইউক্রেন বলেছে, এ বছরের শেষ কয়েক দিন মস্কো তাদের অন্ধকারের মধ্যে কঠিন সময়ে রাখার পরিকল্পনা করেছে। তবে তাতেও ইউক্রেন পিছপা হবে না বলেছেন জেলেনস্কি।

পশ্চিমের সঙ্গে ভূরাজনৈতিক অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন গতকাল বলেন, তিনি মনে করেন না বিষয়টি এত বিপজ্জনক হবে।

আরও পড়ুন