ইউক্রেনে ৭৫ হাজার সেনা হারিয়েছে রাশিয়া, দাবি ব্রিটিশ গণমাধ্যমের

রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ
ফাইল ছবি: এএফপি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধের শেষ কবে, কেউ জানে না। দুই দেশ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। দুই দেশের লড়াইয়ে প্রাণ যাচ্ছে সামরিক ও বেসামরিক লোকের। নানা সময় ইউক্রেন দাবি করে আসছে, যুদ্ধে রাশিয়ান সেনার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ৭৫ হাজারের মতো সেনা নিহত ও আহত হয়েছেন।

মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করেছিলেন। তখন যে পরিমাণ সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছিল, তার অর্ধেক হয় মারা গিয়েছেন, না হলে আহত হয়েছেন। তবে এসব দাবি ভিত্তিহীন বলেই আগে থেকে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়া সরকারিভাবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানায়নি।

আমেরিকার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এলিসা স্লোটকিন। তিনি একজন ডেমোক্র্যাট। সম্প্রতি ইউক্রেন ঘুরে এসেছেন। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘আমাদের ইউক্রেনে জানানো হয়েছিল, ৭৫ হাজারের বেশি রাশিয়ান নিহত বা আহত হয়েছেন। সংখ্যা হিসাবে এটি বড়। স্থলবাহিনীর ৮০ শতাংশেরও বেশি এখন হয় আটকে পড়েছেন এবং তাঁরা ক্লান্ত। তবে তাঁরা এখনো রাশিয়ান সামরিক বাহিনী সদস্য।’

এর আগে গত সপ্তাহে সিআইএর পরিচালক দাবি করেছিলেন, রাশিয়া ৬০ হাজার সেনা হারিয়েছে। গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার সেনা হারিয়েছে রাশিয়া।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মৃত সেনার সংখ্যা যদি সত্যি হয়, তবে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে যাচ্ছে। এর আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধে ৩ লাখ ৫০ হাজার মৃত্যু হয়েছে। আশির দশকে আফগানিস্তান যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ৭০ হাজার সেনার মৃত্যু হয়েছিল। যুদ্ধের ৫ মাস পেরিয়েছে। রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ বা দখল নিতে পারেনি। যুদ্ধ শুরুর সময় পূর্বাঞ্চল দিয়ে আক্রমণ করার ওপর বেশি জোর দিয়েছিল রাশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর কী কী প্রভাব পড়ে, এটাই এখন দেখার বিষয়।