কিউবার পতাকা
ছবি: রয়টার্স

কিউবায় মানব পাচার চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ার জন্য কিউবার নাগরিকদের প্রলুব্ধ করেছে।

সম্প্রতি কিউবার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, তারা মানব পাচার চক্রটিকে ধরার চেষ্টা করছে। এ চক্রটি কিউবা এবং রাশিয়া দুই দেশেই সক্রিয়।  

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক টিভি অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সিজার রদ্রিগুয়েজ বলেন, ‘তদন্তের পর এখন পর্যন্ত ১৭ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে এসব কর্মকাণ্ডের সংগঠকও আছেন।’

রদ্রিগুয়েজ অভিযুক্তদের কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য যোদ্ধা ভাড়া করতে চক্রটির নেতা দুজন মানুষের ওপর নির্ভর করতেন। ওই দুই ব্যক্তি কিউবারই বাসিন্দা।

কৌঁসুলি হোসে লুই রেয়েস বলেন, এই কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্তদের মানব পাচার, ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে কাজ করা এবং বিদেশে শত্রুতাপরায়ণ কর্মকাণ্ডের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। তাঁদের ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, যাবজ্জীবন সাজা কিংবা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অপরাধের ধরন ও মাত্রা বিবেচনার ভিত্তিতে তাঁদের সাজা নির্ধারণ করা হবে।  

আরও পড়ুন

ইউক্রেনে ইউরেনিয়াম-সমৃদ্ধ অস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

কিউবার সঙ্গে রাশিয়ার দৃঢ় রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্থবির পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কিউবার অভিবাসীদের অনেকে রাশিয়াকে গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, যেসব বিদেশি নাগরিক রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন, তাঁদের দ্রুত সময়ের মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

কিউবা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নিজেদের নাগরিকদের ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও অস্বীকার করেছে তারা।