লন্ডনে গাড়ি ধুয়ে ঢাকার পথশিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন বাংলাদেশি যুবকেরা

গত শনিবার টাওয়ার হ্যামলেটসের রমফোর্ড স্ট্রিটে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই গাড়ি ধোয়া কার্যক্রম চলে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অসহায় মানুষ এবং ঢাকায় পথশিশুদের সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্যে গাড়ি ধুয়ে তহবিল গঠন করছে ফিল্ডগেইট ব্রাদার্স। ইস্ট লন্ডনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ যুবকদের এই সংগঠন এ বছর ৫০ হাজার পাউন্ডের (প্রায় ৭০ লাখ টাকা) তহবিল সংগ্রহ করতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা রমজান মাসের শুরুর দিন থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।

২০১৮ সাল থেকে ফিল্ডগেইট ব্রাদার্স এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। গত শনিবার টাওয়ার হ্যামলেটসের রমফোর্ড স্ট্রিটে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই গাড়ি ধোয়া কার্যক্রম চলে। পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, কেক, পানীয়, চকলেটসহ ডেজার্টের স্টল। গাড়ি ধুয়ে এক দিনেই তারা সংগ্রহ করেছে ১৬ হাজার ৫ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মতো। চ্যারিটি কার ওয়াশ (গাড়ি ধুয়া) ও স্টল থেকে আহরিত অর্থের পুরোটাই খরচ হবে বাংলাদেশের গৃহহীনদের জন্য ১০ টি গৃহনির্মাণ ও পথশিশুদের কল্যাণে।

ফিল্ডগেট ব্রাদার্সের প্রধান সমন্বয়ক সালেহ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালে বন্ধুদের নিয়ে একদিন ইফতার করার সময় গরিব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার চিন্তা আসে আমাদের মাথায়। সম্পূর্ণ মানবিক তাগিদ থেকে এই উদ্যোগ নেই। সে দিনই আমরা নিজেদের মধ্য থেকে ৫০০ পাউন্ড ফান্ড সংগ্রহ করি এবং শ্রমের বিনিময়ে ফান্ড সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিই। ওই বছর রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত আমরা ৫ হাজার ৫১০ পাউন্ড ফান্ড সংগ্রহ করতে সক্ষম হই। এর পর থেকে প্রতিবছরই আমরা এই মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি।’

গাড়ি ধুয়ে এক দিনেই তারা সংগ্রহ করেছে ১৬ হাজার ৫ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মতো।

এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে সহায়তা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সালেহ আহমদ বলেন, ‘২০১৯ সালে বাংলাদেশের দিনাজপুরে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ ও টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার পাউন্ডের সহায়তা দিই। ২০২০ সালে খাদ্য, পানি ও বাসস্থানে সহায়তা বাবদ ২৩ হাজার পাউন্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালে গাম্বিয়া,  সিরিয়া, বাংলাদেশ ও ইয়েমেনের মানুষদের ১৫ হাজার ৭০ পাউন্ডের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয় । ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৫৭৬ পাউন্ড কেনিয়ায় সহায়তা করা হয়। এ বছর আমরা ৫০ হাজার পাউন্ডের ফান্ড সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে ঈদ পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আশা করছি এবারও ৭০ হাজার পাউন্ড অতিক্রম করবে।’