ছয় বছর আগে এক দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া কিশোরের খোঁজ মিলল আরেক দেশে

ছয় বছর আগে স্পেনে হারিয়ে যায় অ্যালেক্স বেটিছবি: এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে নেওয়া

অ্যালেক্স বেটির (১৭) বাড়ি যুক্তরাজ্যে। ছয় বছর আগে স্পেনে হারিয়ে যায় সে। বছর গড়িয়ে যায়, কিন্তু কোনোভাবেই খুঁজে পাওয়া যায়নি অ্যালেক্সকে। অবশেষে ছয় বছর পর সন্ধান মিলেছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য কিংবা স্পেনে নয়, ফ্রান্সে। অ্যালেক্সকে এখন পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।

গত বুধবার সকালে ফ্রান্সের তুলুসি শহরে খুঁজে পাওয়া যায় অ্যালেক্সকে। সে এক মোটরসাইকেলচালকের মুঠোফোন থেকে যুক্তরাজ্যে নানিকে বার্তা পাঠায়। সে লিখে, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বাড়িতে ফিরতে চাই।’ ফাবিয়েন আসিদিনি নামের ওই মোটরসাইকেলচালক তুলুসি শহরের পাশে অ্যালেক্সকে বৃষ্টির মধ্যে একা হেঁটে বেড়াতে দেখেন।

ফাবিয়েন বিবিসিকে জানান, অ্যালেক্স চার দিন ধরে টানা হেঁটে বেড়াচ্ছিল। সে পাহাড়ি একটি জায়গা থেকে সেখানে এসেছিল। এসব কথা অ্যালেক্স নিজেই তাঁকে জানিয়েছে। তবে কোথা থেকে সে এসেছে, সেই ঠিকানা অ্যালেক্স বলতে পারেনি।

পরে অ্যালেক্সকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ইন্টারনেটে নাম লিখে অনুসন্ধান করে অ্যালেক্সের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন ফাবিয়েন। এরপরই তিনি অ্যালেক্সের বিষয়ে সহায়তা চেয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এর মধ্যেই ফাবিয়েনের মুঠোফোন চেয়ে নেয় অ্যালেক্স। পরে ফাবিয়েনের ফেসবুক আইডি থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত নানির কাছে একটি বার্তা পাঠায় সে। লিখে, ‘হ্যালো নানি, আমি অ্যালেক্স। আমি এখন ফ্রান্সের তুলুসিতে আছি। আশা করছি, তুমি এই বার্তা পাবে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।’

২০১৭ সালে মা ও নানার সঙ্গে স্পেনে বেড়াতে গিয়েছিল অ্যালেক্স। এরপর হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় সে। অ্যালেক্স দুই বছর ধরে ফ্রান্সে অবস্থান করছিল বলে নিজেই জানিয়েছে।
অ্যালেক্সের নানি সুসান কারুয়ানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নাতির সন্ধান পাওয়ায় আমি খুবই খুশি। আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। ও ভালো আছে।’

এর আগে ২০১৮ সালে সুসান বিবিসিকে বলেছিলেন, অ্যালেক্সের মা মেলানি বেটি ও নানা ডেভিড বেটি মরক্কোর আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের হাতে কিশোর অ্যালেক্সকে তুলে দিয়ে থাকতে পারে। কেননা, ওই সময় তাঁরা দুজনে বিকল্প জীবনব্যবস্থা নিয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি অ্যালেক্স বিদ্যালয়ে যাক, এটাও চাইতেন না।

এখন অ্যালেক্সকে নানির কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য প্যারিসে যুক্তরাজ্য দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।