আলাস্কা বৈঠক ইউক্রেন সংকট সমাধানে আমাদের আরও কাছে এনেছে, পুতিনের সতর্ক আশাবাদ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করে বলেছেন, আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠক ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের ক্ষেত্রে ‘আমাদের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।’ তিনি আরও জানান, মস্কো ও ওয়াশিংটন যত দ্রুত সম্ভব শত্রুতার অবসান ঘটাতেও একমত হয়েছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরে প্রায় তিন ঘণ্টা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ওই বৈঠক হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ দুই নেতার মধ্যে এটিই ছিল প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ।
প্রেসিডেন্ট পুতিন গতকাল শনিবার বলেছেন, আলাস্কায় তাঁর সফর ‘সময়োপযোগী ও যথেষ্ট ফলপ্রসূ’ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনা খুবই খোলামেলা ও বিষয়ভিত্তিক ছিল। আমার মতে, এটি আমাদের প্রয়োজনীয় সমাধানের দিকে আরও কাছে নিয়ে গেছে।’
আলোচনায় উভয় পক্ষের সম্পর্কের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায্য ভিত্তিতে ইউক্রেন সংকটের সম্ভাব্য সমাধান’ প্রসঙ্গে।
রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, আলোচনায় উভয় পক্ষের সম্পর্কের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায্য ভিত্তিতে ইউক্রেন সংকটের সম্ভাব্য সমাধান’ প্রসঙ্গে।
রুশ প্রতিনিধিদল আবারও শান্তভাবে ও বিস্তারিতভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে বলেও জানান পুতিন। সেই সঙ্গে ইউক্রেন সংকটের ‘উৎপত্তি ও কারণ’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘সংকট সমাধানে অবশ্যই এর মূল কারণগুলো দূর করা জরুরি।’ মস্কো ট্রাম্প প্রশাসনের মতোই যত দ্রুত সম্ভব শত্রুতার অবসান চায় এবং সেটা ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে’ হওয়া উচিত, যোগ করেন তিনি।
আলাস্কা বৈঠকের পর মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই সুরে বলেন, তাঁর সঙ্গে রুশ নেতার আলোচনা ছিল ‘উষ্ণ’ এবং তাঁদের মধ্যে ‘অনেক বিষয়ে মতৈক্য’ হয়েছে।
ট্রাম্পের ভাষায়, ওয়াশিংটন ও মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধ ‘সমাপ্তির খুব কাছাকাছি’ পৌঁছেছে। তবে যেকোনো শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেনের সম্মতি অবশ্যই লাগবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন, এখনো ‘দুই-একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের’ সমাধান করা বাকি রয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেগুলোও শিগগির মিটে যাবে।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পও মনে করেন, যুদ্ধের অবসান শুধু একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে নয়, বরং স্থায়ী এক চুক্তির মাধ্যমেই হতে হবে।
আলাস্কা বৈঠকের পর মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই সুরে বলেন, তাঁর সঙ্গে রুশ নেতার আলোচনা ছিল ‘উষ্ণ’ এবং তাঁদের মধ্যে ‘অনেক বিষয়ে মতৈক্য’ হয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা কয়েক মাস ধরে বলে আসছে, শান্তি আলোচনায় বসার আগে অন্তত সাময়িক যুদ্ধবিরতি জরুরি। রাশিয়া সরাসরি এ প্রস্তাব বাতিল না করলেও বলেছে, এতে গুরুতর বাধা রয়েছে। তার যুক্তি, এতে কিয়েভ আরও পশ্চিমা অস্ত্র সংগ্রহের সুযোগ পাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সেনাদলকে পুনর্গঠিত করতে পারবে।
ক্রেমলিনের অবস্থান, ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোর বাইরে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং কার্যক্ষেত্রে তৈরি হওয়া নতুন ভূখণ্ডগত বাস্তবতাও স্বীকার করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল—এগুলো গণভোটের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার অংশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।