জেলিক্যাটের পুতুল সংগ্রহে রেকর্ড

পুতুলের সংগ্রহশালায় সনদ হাতে হোপছবি: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

যুক্তরাজ্যের তরুণী হোপ রবার্টস, ছোটবেলা থেকেই তাঁর পুতুল সংগ্রহের শখ। তিনি ‘জেলিক্যাট’ ব্র্যান্ডের নরম পুতুল (সফট টয়) সংগ্রহ করেন।

নরম পুতুল প্রস্তুতকারক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান জেলিক্যাটের সুনাম বিশ্বজোড়া। হোপ প্রথম জেলিক্যাট ব্র্যান্ডের একটি ছোট্ট খরগোশ কিনেছিলেন। স্থানীয় একটি ‘চ্যারিটি শপ’ থেকে মাত্র ২০ পেনিতে তিনি ওই পুতুল কেনেন।

পুতুলটি হোপের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি এরপর জেলিক্যাটের অন্যান্য পুতুল ও খেলনা কেনা শুরু করেন।

ছোটবেলার এই শখ হোপকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে সাহায্য করেছে। হোপের বয়স এখন ১৯ বছর। তাঁর সংগ্রহে বর্তমানে জেলিক্যাটের ভিন্ন ভিন্ন ৮৭৭টি পুতুল ও খেলনা রয়েছে।

হোপের বাড়ি বেডফোর্ডশায়ারে। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে এক–এক করে তাঁর প্রতিটি পুতুল পরীক্ষা করে দেখে।

বিশাল আকারের পুতুল, মাঝারি আকারের পুতুল, ছোট আকারের পুতুল, কি-চেইন, স্টিকার, ব্যাগ, ফিঙ্গার পাপেটসহ অনেক কিছু আছে হোপের সংগ্রহে।

গিনেস রেকর্ড কর্তৃপক্ষ হোপকে প্রশ্ন করেছিল, সংগ্রহে থাকা এত পুতুলের মধ্যে কোনটি তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। উত্তরে হোপ বলেন, ‘আমার পক্ষে একটিকে বেছে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি সব কটাকেই খুব ভালোবাসি। সব কটিই খুব মিষ্টি।’

হোপের সব পুতুল পরীক্ষার পর গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে সবচেয়ে বেশি জেলিক্যাট পুতুলের মালিকের স্বীকৃতি দেয়।

২৩ ডিসেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে হোপের এই স্বীকৃতির খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে তাঁকে সনদ হাতে দেখা যায়।

বিশ্বজুড়ে সফট টয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে কোভিড–১৯ মহামারির পর এর জনপ্রিয়তার বিস্ফোরণ ঘটে।

বিভিন্ন দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাঁদের সংগ্রহে থাকা সফট টয় নিয়ে ভিডিও বানান, সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।

হোপ নিজেও একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। টিকটকে তাঁর প্রায় ২৭ হাজার এবং ইনস্টাগ্রামে ২০ হাজার অনুসারী রয়েছেন। তিনি তাঁর সংগ্রহে থাকা পুতুল নিয়ে ভিডিও বানান।