রাজবাড়ি হারালেন হ্যারি-মেগান

হ্যারি ও মেগানকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের উইন্ডসর প্রাসাদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। তাঁদের যুক্তরাজ্যে থাকার আর নিজস্ব কোনো জায়গা থাকল না।

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল
ফাইল ছবি

প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের উইন্ডসর প্রাসাদের বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। এতে তাঁদের যুক্তরাজ্যে থাকার আর নিজস্ব কোনো জায়গা থাকল না। গতকাল বুধবার একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের এই বাড়িটি তাঁরা ২৯ লাখ ডলার খরচ করে সংস্কার করেছিলেন। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিয়ের সময় হ্যারি ও মেগানকে এই বাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। এই বাড়িটি এখন রাজা তৃতীয় চার্লসের ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে দ্য সান ও ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হ্যারি ও মেগান ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবেও পরিচিত। প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিন পরই এই দম্পতিকে বাড়িটি খালি করে দিতে বলা হয়। আকস্মিক রাজকীয় জীবন ছেড়ে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান হ্যারি-মেগান দম্পতি।

রাজা তৃতীয় চার্লস সব সময় রাজতন্ত্রের পরিধি কমিয়ে আনার পক্ষপাতী ছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রাজতহবিল ঢেলে সাজানোর কাজে হাত দেন। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বর্তমান ৩০ কক্ষের রাজবাড়ির বাৎসরিক ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বরাদ্দে কাটছাঁটের সম্ভাবনা রয়েছে।

হ্যারি ও মেগান রাজকীয় জীবন ত্যাগের পর অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে শুরু করে নেটফ্লিক্সের তথ্যচিত্রসহ বিভিন্ন প্রজেক্টে অংশ নেন। রাজপরিবারে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। জানুয়ারিতে প্রকাশিত হ্যারির আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘স্পেয়ার’ বিক্রিতে রেকর্ড গড়ে। গ্রন্থটিতে রাজপরিবারে নিজের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেছেন হ্যারি।