রাশিয়ার সামরিক বিমানকে বাধা দিল ন্যাটোর জঙ্গিবিমান

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর উড়োজাহাজ টিইউ-১৩৪
ছবি: রয়টার্স

ন্যাটো জোটভুক্ত পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার আকাশসীমার কাছে উড়তে থাকা একটি রাশিয়ান সামরিক বিমানের চলার পথে বাধা দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানির দুটি জঙ্গিবিমান। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ারফোর্স শনিবার জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির দুটি টাইফুন যুদ্ধবিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমার কাছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ টিইউ-১৩৪ শনাক্ত করে। উড়োজাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল রাশিয়ার একটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান এবং এএন-১২ কিউব সামরিক কার্গো বিমান। পরে সেটির যাত্রাপথে নজর রাখা হয় এবং ন্যাটোর আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এস্তোনিয়ার আকাশসীমার কাছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর উড়োজাহাজকে এমন সময়ে বাধা দেওয়া হলো, যখন ইউক্রেনের নেতারা পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে যুদ্ধবিমান চাচ্ছেন। এই দাবি জানিয়ে ইউক্রেনের নেতারা বলছেন, রাশিয়ার অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাদের যুদ্ধবিমান প্রয়োজন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনকে এখনই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান পাঠাবে না বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে গত মঙ্গলবারও যুক্তরাজ্য ও জার্মানির দুটি টাইফুন যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার একটি সামরিক উড়োজাহাজ শনাক্ত করে। সেদিন শনাক্ত হওয়া রুশ উড়োজাহাজ আইএল–৭৮ মিডাস জ্বালানি নিতে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে কালিনিনগ্রাদ শহরের মধ্যে চলাচল করছিল।

ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমান পূর্ব ইউরোপের আকাশসীমায় নজরদারি চালাচ্ছে। চলমান এই মিশনের মধ্যেই সেই অঞ্চলে দুইবার রাশিয়ার সামরিক উড়োজাহাজ শনাক্ত হলো। এর কয়েক দিন আগে কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধবিমানের কারণে মার্কিন একটি ড্রোন সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।