যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমছে

যুক্তরাজ্যের একটি ফিলিং স্টেশন থেকে গাড়ির জন্য জ্বালানি সংগ্রহ করা হচ্ছে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি লিটার পেট্রল ৩৪ পেন্স ও ডিজেল ১৮ পেন্স করে কমেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় পেট্রল ৪০ টাকা ও ডিজেল ২১ টাকা করে লিটারে কমেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে গত চার মাসের মধ্যে জ্বালানির দাম সর্বনিম্নে নেমেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এ বছরের শুরু থেকেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকে। গত ৪ জুলাই প্রতি লিটার পেট্রল সর্বোচ্চ ১ পাউন্ড ৯১ পেন্স ও ডিজেল ১ পাউন্ড ৯৯ পেন্সে পৌঁছায়। চার মাসের ব্যবধানে ধাপে ধাপে দাম কমে এখন প্রতি লিটার পেট্রল ১ পাউন্ড ৫৭ পেন্সে ও ডিজেল ১ পাউন্ড ৮১ পেন্সে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। মূল্যহ্রাসের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

গতকাল লন্ডনের এসেক্স এলাকার কয়েকটি পেট্রল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ড্যাগেনহামের বালার্ডস রোডের শেল পেট্রলপাম্পে পেট্রল প্রতি লিটার ১ পাউন্ড ৫৭ পেন্স ও ডিজেল ১ পাউন্ড ৮৩ পেন্সে বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানির দাম কমায় প্রতিবার পূর্ণ ট্যাংক জ্বালানি কেনায় পেট্রলচালিত গাড়িতে ১৪ পাউন্ড ও ডিজেল চালিত গাড়িতে ১০ পাউন্ড খরচ কমবে প্রতিটি পরিবারের।

আরএসি ফুয়েলের মুখপাত্র সাইমন উইলিয়াম বলেন, এটা দৃশ্যত ভালো সংবাদ যে জ্বালানি তেলের মূল্য কমেছে। তবে পাইকারি পর্যায়ে যে হারে দাম কমেছে, সে হারে খুচরা পর্যায়ে কমেনি। পেট্রল প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১ পাউন্ড ৫৩ পেন্স ও ডিজেল ১ পাউন্ড ৭৫ পেন্স হওয়ার কথা।

ড্যাগেনহামের ইসো ফিলিং স্টেশনের মালিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিপু খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় গত কয়েক মাস ক্রেতাদের মধ্যে একধরনের হতাশা ও আতঙ্ক দেখা গেছে। দাম কমতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে মনে হয়। দাম কমার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে পূর্বের স্বাভাবিক মূল্যে ফিরে যেতে বেশি দিন লাগবে না।