দুই সপ্তাহের মধ্যে সেনা নিযুক্তির কাজ শেষ হবে: পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য আপৎকালীন মজুত সেনাদের (রিজার্ভ সেনা) তলবের কাজ শেষ হবে। গতকাল শুক্রবার কাজাখস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

তিন সপ্তাহ আগে পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর জন্য দেশের অভ্যন্তরে ‘আংশিক সেনা নিযুক্তি’র আদেশ দেন। এর আওতায় আপৎকালের জন্য মজুত সেনাদের মধ্য থেকে ৩ লাখ সেনাকে ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এ ঘোষণার পর হাজারো মানুষকে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য তলব করা হয়। অনেকে সেনা নিযুক্তির ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

কাজাখস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে আংশিক সেনা নিযুক্তির আদেশের পক্ষে কথা বলেছেন পুতিন। তাঁর ভাষ্য, সম্মুখযুদ্ধের ক্ষেত্রটা এতটাই দীর্ঘ যে শুধু চুক্তি ভুক্ত সেনাদের মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া কঠিন।

পুতিন বলেন, ‘প্রত্যাশিত তিন লাখ আপৎকালীন সেনা নিযুক্তির এ পদক্ষেপে ইতিমধ্যে ২ লাখ ২২ হাজার সেনা নিযুক্ত করা হয়েছে। এ কাজ সহসা শেষ হতে যাচ্ছে। আমি মনে করি সেনা নিযুক্তির এ তৎপরতা শেষ হতে প্রায় দুই সপ্তাহ লাগবে।’

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রাশিয়া যে ধরনের হামলা চালিয়েছিল আপাতত অত বড় ধরনের বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনা তাদের নেই। গত সপ্তাহে ইউক্রেনজুড়ে শতাধিক দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো।

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার আংশিক দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সেনা নিযুক্তির ঘোষণার পর দেশের ভেতরে রুশ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এবং গ্রাম এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, রুশ নাগরিক এবং শহর এলাকার বাসিন্দাদের তুলনায় তাদের বেশি তলব করা হচ্ছে। রুশ কর্মকর্তারাও অবশ্য স্বীকার করেছেন সেনা নিযুক্তির ক্ষেত্রে কিছুটা ভুলত্রুটি হয়েছে।
সেনা নিযুক্তির আদেশ দেওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে। দক্ষিণের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকেও পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।