জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের দোষারোপের পরপরই কিয়েভে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৯
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এসব হামলা হয়।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, কিয়েভকে লক্ষ্য করে রাশিয়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৪৫টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আবাসিক ভবন, বেসামরিক অবকাঠামোসহ কিয়েভের অন্তত ১৩টি স্থানকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
হামলার পরপরই জেলেনস্কি ঘোষণা দেন, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্ত করে ইউক্রেনে ফিরছেন। গতকাল বুধবার রাতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন।
জেলেনস্কি বলেন, আসলে কী ঘটছে, তা সারা বিশ্বের মানুষের দেখা ও বোঝা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করার জন্য অচিরেই আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ইউক্রেন।
জেলেনস্কি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই হামলা অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে বন্ধ করতে হবে।’
কিয়েভে উপস্থিত থাকা সিএনএনের সংবাদকর্মীরা বলেছেন, আজ ভোররাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছয় ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত বাজানো হয়েছে।
জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, হামলার পর কয়েকটি স্থানের ভবনগুলোতে আগুন জ্বলছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লিমেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের সিভিয়াতোশিন এলাকায় রুশ হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের সন্ধানে প্রকৌশলী, উদ্ধারকর্মী ও প্রশিক্ষিত কুকুর উদ্ধারকাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এখনো দুই শিশু নিখোঁজ আছে বলে তথ্য আছে।’ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো এর আগে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরে কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন থেকে ‘সবকিছু স্বাভাবিক’ আছে বলে ঘোষণা করা হয়।