নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ‘ডি–ডের’ অনুষ্ঠান ত্যাগ, ক্ষমা চাইলেন ঋষি সুনাক

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে সামনে জাতীয় নির্বাচন। চলছে প্রচারণা। এরই অংশ হিসেবে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘ডি–ডে’ স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে আগেভাগে চলে যান তিনি। এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। সমালোচনার মুখে অনুষ্ঠান ত্যাগের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাঁকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালের ৬ জুন ফ্রান্সের নরম্যান্ডি দ্বীপে হামলা চালায় মিত্রপক্ষের সেনারা। দিনটিকে ডি–ডে বলা হয়। দ্বীপটিতে জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির সঙ্গে তুমুল লড়াই হয় তাঁদের। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বীপটিতে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছায় মিত্রপক্ষ। ঘুরে যায় যুদ্ধের মোড়। এই লড়াইয়ের এক বছর পর পরাজয় স্বীকার করে জার্মানি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ডি–ডে স্মরণে নরম্যান্ডি দ্বীপে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে যোগ দেন সুনাক। তবে দ্বীপের ওমাহা সৈকতে আরেকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। সেখানে ২০টির বেশি দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা যোগ দিয়েছিলেন। হাজির ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া মিত্রপক্ষের সেনা সদস্যরাও।

এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সুনাক লিখেছেন, ‘নরম্যান্ডি দ্বীপে যুক্তরাজ্যের অংশটুকু শেষ হওয়ার পর আমি দেশে ফিরে আসি। ফ্রান্সে (ওই অনুষ্ঠানে) থেকে না যাওয়াটা একটা ভুল ছিল। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’ আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়ও নিজের ভুলের কথাটি স্বীকার করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার নরম্যান্ডি থেকে ফিরে ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিতে প্রচারণা–সংক্রান্ত একটি সাক্ষাৎকার দেন সুনাক। আইটিভি তাঁর সাক্ষাৎকার ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সুনাক ক্ষমা চাইলেও এর আগেই দেশবাসীর মনে তাঁর বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের জন্ম নিয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা বড় ভুল করলেন তিনি।

এ বিষয়ে আজ বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জোনাথন অ্যাশওর্থ বলেন, ‘আমাদের দেশের সেবায় যাঁরা নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদের সবার সাহসিকতা স্মরণে ডি–ডে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের প্রবীণ সেনাদের চেয়ে নিজের টেলিভিশনে উপস্থিতিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন ঋষি সুনাক। এ থেকে বোঝা যায়, তাঁর কাছে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’