গোলাপি রঙের ঘাসফড়িংয়ের দেখা
ঘাসফড়িং শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজরঙা এক পতঙ্গের ছবি। কিন্তু কেমন হবে, যদি হঠাৎ গোলাপি রঙের ঘাসফড়িংয়ের দেখা মেলে? আট বছরের শিশু মিট জেমি এমনই এক গোলাপি ঘাসফড়িংয়ের দেখা পেয়েছে। বিরল এই ঘাসফড়িংকে ক্যামেরায় ধারণ করতে ভুল করেনি সে। আর সেটা করবে নাই-বা কেন। কারণ, জেমি রীতিমতো পুরস্কারজয়ী আলোকচিত্রী।
যুক্তরাজ্যের খুদে আলোকচিত্রী জেমি ইনস্টাগ্রামে ঘাসফড়িংয়ের ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, মাঝেমধ্যে অন্য রঙের ঘাসফড়িংয়ের যে দেখা মেলে না, তা নয়। তবে গোলাপি রঙের ঘাসফড়িংয়ের দেখা পাওয়াটা যেন ভাগ্যের ব্যাপার! এমন ঘাসফড়িংয়ের ছবি দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীও মুগ্ধ।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মিট লিখেছে, ‘বাহ্, মাত্রই একটা গোলাপি রঙের ঘাসফড়িং পেলাম। ১ শতাংশের মতো মানুষ হয়তো তাদের জীবদ্দশায় গোলাপি রঙের ঘাসফড়িংয়ের দেখা পেয়ে থাকে। এর দেখা পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি।’
গোলাপি ঘাসফড়িং কেন গোলাপি রঙের হলো, ভিডিওতে তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে জেমি। তার মতে, জিনগত রূপান্তর থেকে এমনটা ঘটেছে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে কালো রঙের রঞ্জক উৎপাদিত হয়নি, গোলাপি রঙের রঞ্জক অনেক বেশি উৎপাদিত হয়েছে।
জেমি ‘ইগল আইড গার্ল’ স্মার্ট নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। অনেকেই জেমির মেধা এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের প্রতি তার আগ্রহের প্রশংসা করছেন।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের এমনই হওয়ার কথা। শিশুরা তাদের চারপাশের জগৎ নিয়ে আগ্রহী ও কৌতূহলী। আমি এটা পছন্দ করি।’
আরেক ব্যবহারকারী জেমির প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘তার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে থাকা উচিত। তাকে অভিনন্দন। এই বিরল ও সুন্দর ঘাসফড়িং দেখতে পাওয়ার বিষয়টি আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’