ইউক্রেনে ৭২ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

গোলার আঘাতে রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র ভিয়াচেসলাভ গ্লাদকভ
ছবি: টেলিগ্রাম থেকে সংগৃহীত

হোয়াইট হাউস বলেছে, ইউক্রেনে আরও ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ সপ্তাহে কিয়েভ ও অন্যান্য জায়গায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে আরও সহায়তা চেয়েছে ওয়াশিংটন। খবর আল–জাজিরার।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার সহিংস ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ সহায়তা দেওয়া হবে।

ব্লিঙ্কেন পরে এক টুইটে বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে পিছু হটিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে রয়েছে।’

ওয়াশিংটনের নতুন সামরিক প্যাকেজে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের (হিমার্স) জন্য বেশি গোলাবারুদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর আলাদা এক বিবৃতিতে বলেছে, জো বাইডেনের প্রশাসনের যাত্রা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে এ পর্যন্ত ১ কোটি ১ হাজার ৮৩০ কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ২০টি হিমার্স দিয়েছে। আগামী বছরগুলোতে এ ধরনের আরও ১৮টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হিমার্স শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি রাশিয়ার সেনা সরবরাহের সক্ষমতাকে দুর্বল করে। রাশিয়ার অস্ত্রভান্ডার, সেতু ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হিমার্স আঘাত করতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্যাকেজে কয়েক হাজার রাউন্ড গোলা রয়েছে, যাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা হিসেবে ইউক্রেন এগুলো ব্যবহার করতে পারে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ আট মাসে গড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলছে, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের শহরগুলোতে শত শত রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইউক্রেনের বাহিনী কিছুটা সফলতা দেখিয়েছে। তবে তাদের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য আরও বাড়ানো দরকার।

আরও পড়ুন

পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর অর্ধেক প্রতিহত করতে পেরেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।

যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কিয়েভে সম্প্রতি রাশিয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী নিকোপল শহরের হাসপাতাল, কিন্ডারগার্টেন ও অন্যান্য ভবনে হামলা হয়েছে। কার্চ সেতুতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলছে রাশিয়া। তবে কার্চ সেতুতে হামলার দায় নেয়নি ইউক্রেন।

আরও পড়ুন