কৃষ্ণসাগরে আবার ড্রোন পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নামের একটি ড্রোন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে আবার নজরদারির ড্রোন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার মস্কোর বিরুদ্ধে তাদের এমকিউ–৯ নামের একটি ড্রোনের ওপর হামলা করে তা ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা নতুন করে আবার ওই অঞ্চলে ড্রোন পাঠানোর কথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, আরকিউ–৪ গ্লোবাল হক নামের একটি ড্রোন আবার ওই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। আরেক কর্মকর্তা বলেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনার পর এ ধরনের ড্রোন পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলে আসছেন, গত সপ্তাহের ঘটনার পরও ওয়াশিংটন কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ রাখবে না।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে গত মঙ্গলবারের ড্রোন ধ্বংস করার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘাত। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। ড্রোন ধ্বংসের ঘটনায় দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরের ওপর দিয়ে রাশিয়ার দুটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপার ড্রোন উড়ছিল। এ সময় একটি যুদ্ধবিমান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ড্রোনের সামনে যায় ও এটির প্রপেলারে আঘাত করে। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, তাদের যুদ্ধবিমান মার্কিন ড্রোনকে আঘাত করেনি। ড্রোনটি মোড় নিতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে গত বৃহস্পতিবার পেন্টাগন একটি ভিডিও উন্মুক্ত করে। ভিডিওতে রুশ যুদ্ধবিমানকে ওই ড্রোনের খুব কাছ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে উড়ে যেতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ ঘটনা ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সংঘর্ষে জড়ানোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

বৈমানিকেরা পুরস্কৃত

মার্কিন ড্রোন ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত থাকা দুই বৈমানিককে পুরস্কৃত করেছে মস্কো। গত শুক্রবার দুই যুদ্ধবিমানের বৈমানিককে জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু মার্কিন ড্রোনকে ক্রিমিয়ার দিকে আসা থেকে ঠেকানোয় দুই বৈমানিকের প্রশংসা করেন। ক্রেমলিনপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক সের্গেই মার্কভ বলেন, বৈমানিকদের পুরস্কৃত করার ঘটনাটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে মার্কিন ড্রোন নামাতে চেষ্টা করে যাবে রাশিয়া। এ ছাড়া ঘটনাটি রাশিয়ার অভ্যন্তর থেকে জোরালো সমর্থন পাবে।

আরও পড়ুন