আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘাত: কারাবাখ ছাড়তে শুরু করেছেন জাতিগত আর্মেনীয়রা
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্রসমর্পণের পর আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখ ছাড়তে শুরু করেছেন জাতিগত আর্মেনীয়রা। গতকাল রোববার আর্মেনীয় শরণার্থীদের একটি দল সীমান্ত পার হয়ে আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করে।
এর আগে গত বুধবার আজারবাইজানের আকস্মিক অভিযানের মুখে অস্ত্রসমর্পণ ও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বিষয়টি তদারক করছেন সেখানে থাকা রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা।
আজারবাইজানের সীমান্তরক্ষীদের পার হয়ে স্বল্পসংখ্যক আর্মেনীয় কোরনিদজোর গ্রামে প্রবেশ করেন। সেখানে তাঁদের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করেন আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা।
এই দলে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল। কয়েকজন জানান, তাঁরা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে এসেছেন। আবার কয়েকজন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার কথাও জানান।
এক ব্যক্তি জানান, তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। আজেরি বাহিনীর হামলার মুখে গত বুধবার তাঁরা শান্তির পথে হাঁটতে এবং অস্ত্রসমর্পণে রাজি হতে বাধ্য হন।
বছর তিরিশের ওই যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের পরিবারগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল।’ তাঁরা মেৎস শেন গ্রাম থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) আমাদের অস্ত্র জমা দিতে হয়েছে। তাই আমরা সেখান থেকে চলে এসেছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগোরনো-কারাবাখে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয় শেষ পর্যন্ত আর্মেনিয়ায় চলে আসতে পারেন। গতকাল তাঁদের নেতারা বলেছেন, আর্মেনীয়রা আজারবাইজানের অংশ হয়ে থাকতে চান না। তাঁরা জাতিগত নিধনের শিকার হওয়ারও আশঙ্কা করছেন।