যুক্তরাজ্যে প্রিগোশিনের ভাগনারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে ভাগনার বাহিনীর প্রধান কার্যালয়
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহের মাথায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানাল যুক্তরাজ্য সরকার।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান ভাগনারকে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার হুমকি’ বলে উল্লেখ করে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এর অনুমোদন দিয়েছে।। আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এ বাহিনীর সদস্য হওয়া, তাদের সমর্থন করা এবং ভাগনারের পতাকা বা লোগো প্রদর্শন করা অপরাধ।

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যে এখন আধা সামরিক বাহিনীটিকে সহযোগিতা করলে জরিমানা গুনতে হবে। এমনকি তাঁদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে।

গত সপ্তাহে ভাগনারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছিলেন, অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালানোর মধ্য দিয়ে ভাগনার কেবল ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছে।

যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৭৮টি সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ তালিকায় এবার ভাগনারও যুক্ত হলো। তালিকায় হামাস ও বোকো হারামের নামও আছে।

ভাগনার রাশিয়ার হয়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও মস্কোর বড় সফলতা এসেছে বাহিনীটির হাত ধরে। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ জুন অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন প্রিগোশিন। ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরে অবশ্য পিছু হটেছিলেন প্রিগোশিন। তবে ভাগনারের ওই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ মতো বলে আখ্যা দেন পুতিন।

গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রিগোশিন ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’তে চড়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিলেন। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজে প্রিগোশিন ছাড়াও তাঁর ডানহাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিনসহ সাত যাত্রী ছিলেন। আর ক্রু ছিলেন তিনজন। তাঁদের সবাই নিহত হন।