ন্যাটোর সদস্য এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ন্যাটোর সদস্যদেশ এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। সেগুলো বাল্টিক সাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে কালিনিনগ্রাদে গেছে।
আজ শনিবার ভোরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ দাবি করা হয়েছে। বাল্টিক সাগর উপকূলবর্তী কালিনিনগ্রাদ রুশ ভূখণ্ড।
এস্তোনিয়া সরকারের দাবি, তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান ১২ মিনিট ধরে তাদের আকাশে অবস্থান করেছে, যা আকাশসীমার স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটিকে তারা ‘নজিরবিহীন বেপরোয়া’ অনুপ্রবেশ বলে বর্ণনা করেছে।
এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন কয়েক দিন আগে ২০টির বেশি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ন্যাটোর যুদ্ধবিমান সেগুলোর কয়েকটি ভূপাতিত করেছে।
এমন এক সময়ে এ ঘটনা ঘটল, যখন মাত্র কয়েক দিন আগে ২০টির বেশি রুশ ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। ন্যাটোর যুদ্ধবিমান সেগুলোর কয়েকটি ভূপাতিত করেছে।
সর্বশেষ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলা হয়, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো আন্তর্জাতিক আকাশসীমা–সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করে উড়াল সম্পন্ন করেছে। একটি স্বাধীন তদন্তের মধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সেগুলো অন্য কোনো রাষ্ট্রের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘রুশ যুদ্ধবিমানগুলো উড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারিত আকাশপথ থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং এস্তোনিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।’
রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান গতকাল শুক্রবার এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে বলে দাবি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর। ন্যাটো বলেছে, ফিনল্যান্ড উপসাগরের ওপর এস্তোনিয়ার আকাশে সেগুলো মোট ১২ মিনিট ছিল। অনুপ্রবেশের ঘটনার পর তারা সেগুলো রুখে দিয়েছে।
রুশ যুদ্ধবিমানগুলো আন্তর্জাতিক আকাশসীমা–সংক্রান্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করে উড়াল সম্পন্ন করেছে। একটি স্বাধীন তদন্তের মধ্যমে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে সেগুলো অন্য কোনো রাষ্ট্রের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ন্যাটোর আরও দুই সদস্য—পোল্যান্ড ও রোমানিয়া তাদের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের দাবি করেছে।