লন্ডনে বেড়াতে এসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন নোয়াখালীর মিজানুর

লন্ডনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান মিজানুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভ্রমণ ভিসায় লন্ডন এসেছিলেন মিজানুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি। উঠেছিলেন ইস্ট লন্ডনের শ্যাডওয়েল স্টেশনের পাশের একটি ফ্ল্যাটে। ৫ মার্চ মধ্যরাতে ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

চারতলাবিশিষ্ট ভবন মাডক্স হাউসের দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে বাংলাদেশ থেকে আসা ছাত্ররাসহ গাদাগাদি করে ১৮ থেকে ২০ জন মানুষ বাস করতেন। মিজানুর রহমান ঘটনার তিন দিন আগে ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ধারণা, ইলেকট্রিক বাইসাইকেলের ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস।

ওই ফ্ল্যাটের একজন বাসিন্দা নাজমুস শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন রাতে সবাই যাঁর যাঁর শয্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ অনেকের পায়ের আওয়াজ ও দৌড়াদৌড়ির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তাঁরা দেখতে পান পুরো বাসা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। তাঁরা সিঁড়ি দিয়ে ভবনের নিচে চলে আসতে সক্ষম হলেও মিজানুর রহমান আটকা পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মিজানুরের মৃত্যু হয়।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন
ছবি: প্রথম আলো

মিজানুরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তাঁর লাশ দেশে পাঠানোর জন্য ইডেন কেয়ার নামের একটি দাতব্য সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে। ইডেন কেয়ারের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত ও হাসপাতালের ছাড়পত্রসহ আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ হলে মিজানুরের লাশ দেশে পাঠানো হবে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে তাঁরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

এদিকে আগুনের ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই কক্ষের ওই ফ্ল্যাটে মাত্র একটি শৌচাগার ও একটি গোসলখানা। সেখানে এত মানুষ কীভাবে বাস করছে, সেটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যুক্তরাজ্যের মূলধারার গণমাধ্যমেও বিষয়টি বেশ আলোচনা হচ্ছে।