ফ্রান্সে হলোকাস্ট মেমোরিয়ালে হামলা, মাখোঁর তীব্র সমালোচনা

প্যারিসের মেমোরিয়াল থেকে গ্রাফিতি দ্রুতই মুছে ফেলা হয়েছেছবি: ডয়চে ভেলে

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি হলোকাস্ট মেমোরিয়ালসহ কয়েকটি স্কুল ও নার্সারিতে গ্রাফিতি হামলার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। ‘ওয়াল অব দ্য রাইটিয়াস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল’-এ হওয়া এই হামলাকে ‘জঘন্য ইহুদিবিদ্বেষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ইহুদি সংগঠনের নেতারাও এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিরা ফ্রান্স দখল করার পর ইহুদিদের প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন, এমন ৩ হাজার ৯০০ মানুষের স্মরণে স্মৃতিসৌধটি স্থাপন করা হয়। ১৯৪১ সালের ১৪ মে নাৎসিরা প্রথমবারের মতো অসংখ্য ইহুদিকে আটক করেছিল। ওই দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্যারিসের মেমোরিয়ালে গ্রাফিতি হামলা হয়েছে। মেমোরিয়ালে ২০টি রক্তাক্ত হাতের ছবি আঁকা হয়েছে।

২০০০ সালে রামাল্লায় দুই ইসরায়েলিকে হত্যার পর উল্লসিত দর্শকদের রক্তাক্ত হাত দেখিয়েছিলেন কয়েকজন ফিলিস্তিনি। সমালোচকেরা বলছেন, রক্তাক্ত হাত আঁকা গ্রাফিতি সেই অঙ্গভঙ্গিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করে। সম্প্রতি প্যারিসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। সেখানে কয়েকজনের হাতে লাল রং লাগানো ছিল বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের মন্ত্রী প্রিসকা টেভেনঁ।

শিক্ষার্থীদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে হাত রং করা হয়েছিল। তবে টেভেনঁ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হলোকাস্ট মেমোরিয়ালে আঁকা গ্রাফিতির ছবি শেয়ার করে বলেছেন, যাঁরা বলছেন, লাল হাত ইহুদিবিদ্বেষী চিহ্ন ছিল না, এখানে ওয়াল অব দ্য রাইটিয়াস অ্যাট দ্য শোয়াহ মেমোরিয়ালে সেগুলো লাগানো আছে। লাগামহীনভাবে ইহুদিবিরোধিতা চলছে। আর কিছু মানুষ এটিকে উৎসাহিত করে চলেছেন।