এয়ার বাবলের ভেতর সমুদ্রে ১৬ ঘণ্টা

পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করে আটলান্টিক মহাসাগরে উল্টে যায় ফরাসি এক নাবিকের এই নৌযানটিছবি: রয়টার্স

উল্টে যাওয়ার পর নৌযানের ভেতর ‘এয়ার বাবল’ তৈরি করে প্রায় ১৬ ঘণ্টা সমুদ্রের বরফ–ঠান্ডা পানিতে বেঁচে ছিলেন ফরাসি এক নাবিক। তবে এখন পর্যন্ত ওই নাবিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ১২ মিটার লম্বা নৌযানটি পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় গত সোমবার সন্ধ্যায় আটলান্টিক মহাসাগর থেকে এটি বিপৎসংকেত পাঠায়। পরে স্পেনের কোস্টগার্ডের সদস্যরা উল্টে যাওয়া নৌযানটি খুঁজে পান। কিন্তু সমুদ্র এতটাই উত্তাল ছিল যে এর নাবিককে উদ্ধার করতে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁদের। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সময় সূর্য ডুবে গিয়েছিল। উপায় না পেয়ে তারা নৌযানটির ওপরে বেলুন বেঁধে দেয়, যাতে এটি ডুবে না যায়। তখন একজন ডুবুরি নৌযানের হুলের ওপর নামলে এর ভেতরে থাকা নাবিক ধাক্কা দিয়ে সাড়া দেন। পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।

পরের দিন দুজন ডুবুরি নাবিককে উদ্ধারে নৌযানের নিচে সাঁতরে ঢোকেন। তাঁরা ওই নাবিককে একটি নিওপ্রিন সারভাইভাল স্যুট পরা এবং হাঁটু পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকতে দেখেন। ওই নাবিক তখন হিমায়িত পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সাঁতরে সমুদ্রের পৃষ্ঠের দিকে ওঠেন।

এই ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় স্পেনের মেরিটাইম সেফটি অ্যান্ড রেসকিউ সোসাইটি বলেছে, ‘প্রতিটি জীবন বাঁচানোই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’

কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযান দলের সদস্য ভিসেন্তে কোবেলো বলেন, নাবিক ‘নিজের উদ্যোগে’ পানিতে নেমেছিলেন। কোবেলো আরও বলেন, ডুবুরিরা নাবিককে বের করতে সাহায্য করেছিলেন। কারণ, তাঁর পক্ষে স্যুট থেকে বের হওয়া কঠিন ছিল। উদ্ধারের পর ওই নাবিকের শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।