ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় নতুন হামলা

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিকোলাইভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত একটি স্কুল
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনারা যখন দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরের পুনর্দখল নিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তখনই দেশজুড়ে এ হামলা হলো। খবর বিবিসির।

কর্তৃপক্ষ বলছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রোপিভনিৎস্কিকেতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। ক্রোপিভনিৎস্কির রাজধানী কিরোভোহরাদ অঞ্চলে একটি বিমান চালনা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে দুটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক প্রধান আন্দ্রি রাইকোভিচ এ তথ্য জানিয়েছেন।  

পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতে রাশিয়ার গোলা হামলায় তিনজন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়। আঞ্চলিক প্রধান পাভলো কিরিলেনকো হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছেন। ওই হামলায় ১২টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

কিয়েভের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলেও হামলা হয়েছে।

কিয়েভ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরের এলাকা লিউতিজে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ছয়টি রুশ কালিবর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ওরেকসি হ্রোমোভ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হামলায় কেউ নিহত হয়েছেন কি না, তা উল্লেখ করেননি তিনি।

ইউক্রেনের মধ্য-পূর্বাঞ্চলীয় দিনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলের স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই এলাকায় রুশ গোলা হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনও ক্রমাগত রুশ সেনাদের কাছ থেকে খেরসন শহরের পুনর্দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খেরসনগামী গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুতে ইউক্রেনীয় বাহিনী রকেট হামলা চালানোর পর থেকে এটি অচল হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দীর্ঘ পাল্লার রকেট দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়। আন্তোনিভস্কি ব্রিজ নামে সেতুটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খেরসনে অস্ত্র ও সেনা পাঠানো রাশিয়ার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পরপরই দখল হওয়া খেরসন শহরটির সঙ্গে এখন অন্য এলাকাগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

অবশ্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সতর্ক করে বলেছে, খেরসন অঞ্চলের দখল নিজেদের কাছে রাখতে পূর্বাঞ্চল থেকে ওই এলাকায় সেনা সরিয়ে নিচ্ছে তারা।

ছবিতে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর কাছে একটি পন্টুন ব্রিজ (ভাসমান সেতু) স্থাপনের চেষ্টা করছে রুশ সেনারা।

খেরসনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখাটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১৪ সালে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া অঞ্চল ক্রিমিয়ার সঙ্গে খেরসনের একটি স্থল করিডর আছে।