ইউক্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় আরও ৩ শস্যবাহী জাহাজ

তুর্কি বাল্ক ক্যারিয়ার ‘ওসপ্রে এস’ আজ শুক্রবার ইউক্রেনের চোরনোমরস্ক বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্যবাহী আরও তিনটি  জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। জাহাজ ৩টিতে ৫৮ হাজার ৪১ টন ভুট্টা আছে। শস্য রপ্তানি চালুতে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীন আজ শুক্রবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

যুদ্ধ শুরুর পর ওদেসা বন্দর থেকে গত সোমবার লেবাননের উদ্দেশ্যে প্রথম শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্বাক্ষরিত নিরাপদ চলাচল চুক্তির অধীনে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিয়ে ইস্তাম্বুলে স্থাপিত যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র জানিয়েছে, আজ চোরনোমরস্ক থেকে দুটি ও ওদেসা বন্দর থেকে একটি জাহাজ ছেড়ে যাবে। স্থানীয় সময় সকালে নিজ নিজ বন্দর থেকে বহির্গামী এই তিনটি জাহাজ যাত্রা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

চোরনোমরস্ক থেকে ‘পোলারনেট’ নামের একটি জাহাজ ১২ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে তুরস্কের কারাসুর উদ্দেশে আর ‘রোজেন’ ১৩ হাজার ৪১ টন ভুট্টা নিয়ে ব্রিটেনের টিসপোর্ট বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে। এ ছাড়া ওদেসা থেকে ৩৩ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে আয়ারল্যান্ডের রিঙ্গাস্কিডির উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজ ‘নাভিস্টার’।

এদিকে, ওদেসার আঞ্চলিক প্রশাসন জানিয়েছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী তুর্কি বাল্ক ক্যারিয়ার ‘ওসপ্রে এস’ আজ ইউক্রেনের চোরনোমরস্ক বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম কোনো জাহাজ কোনো ইউক্রেনের বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ বসফরাস পাড়ি দিতে অপেক্ষমাণ অন্য জাহাজগুলোর সঙ্গে ইস্তাম্বুলের এশীয় উপকূল থেকে এক কিলোমিটার দূরে মারমারা সাগরে অবস্থান করছিল ‘ওসপ্রে এস’।

আরও পড়ুন

ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ গম উৎপাদন করে থাকে। রাশিয়া ইউরোপে মূল গ্যাস সরবরাহকারী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ দেখা দেয়।