বেতন বাড়ানোর দাবি, ধর্মঘটে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা

বেতনবৈষম্য দূর করার দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীরা
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে কনিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীরা তিন দিনের ধর্মঘট পালন করছেন। বেতনবৈষম্য দূর করার দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে তাঁদের এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রতি ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা যে পরিমাণ মজুরি পান, যুক্তরাজ্যে একটি অভিজাত কফিশপের কর্মীদের ঘণ্টাভিত্তিক মজুরি তার চেয়ে বেশি। তাই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) আওতাধীন কনিষ্ঠ চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন।

এনএইচএসের ইংল্যান্ড ন্যাশনাল মেডিকেল পরিচালক স্টিফেন পোওয়িস বলেন, চিকিৎসাসেবা খাতের জন্য এই তিন দিন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে ধর্মঘট চলার সময় রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা, ক্যানসারের জরুরি চিকিৎসা এবং জরুরি অস্ত্রোপচারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ট্রেড ইউনিয়ন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীদের সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১৪ দশমিক শূন্য ১ পাউন্ড। একই সময়ে বারিস্তার (চেইন কফিশপ) একজন কর্মী এর চেয়ে ১ পেন্স বেশি মজুরি পান।

এর আগের ২০১৯ সালে কনিষ্ঠ চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা নিয়ে চার বছরের জন্য একটি চুক্তি করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, প্রতিবছর তাঁদের মজুরি ২ শতাংশ করে বাড়বে।

কিন্তু এখন কনিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীদের মতে, মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এ পরিস্থিতি আগের ওই চুক্তি মেনে পাওয়া মজুরিতে জীবন কাটানো বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৯ পাউন্ড মজুরি চান।

দীর্ঘদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবি পূরণ না হওয়ায় তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করার কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চাপে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বিএমএ ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।