রাশিয়ায় হরিণ যাওয়া ঠেকাতে সীমান্তে বেড়া

নরওয়ে থেকে এ বছর ৪২টি বল্গা হরিণ রাশিয়ায় চলে গেছে
রয়টার্স প্রতীকী ছবি

দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে বল্গা হরিণ! এ নিয়ে বিপত্তিতে পড়েছে নরওয়ে। নিয়মিত হরিণ পালানোর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশটিকে। তাই নিজ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরওয়ে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নরওয়ে থেকে হরিণগুলো চলে যাচ্ছে রাশিয়ায়। দুই দেশের মধ্যে ১৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সীমান্তে আগেই বেড়া দিয়েছিল নরওয়ে। সে–ও বহুদিন আগে, ১৯৫৪ সালে। এত পুরোনো হওয়ায় অনেক স্থানে বেড়াগুলো ভেঙে পড়েছে। এই ফাঁক গলে হরিণগুলো রাশিয়ার মারমানস্ক অঞ্চলের পাসভিক জাপোভেদনিক জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করছে। ওই বেড়াগুলো এখন নতুন করে আবার গড়ে তোলা হবে।

নরওয়ে সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশটির ৪২টি বল্গা হরিণ রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছে। প্রতিটির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৪ হাজার ৭০০ ডলার দাবি করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। অনেক হরিণ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

এসবের জেরেই সীমান্তে বেড়া নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ের কৃষি দপ্তর। নতুন করে মোট সাত কিলোমিটার বেড়া দেওয়া হবে। আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে এ কাজ। আর এতে খরচ হবে ৩৭ লাখ ক্রোনার। দেশটির কৃষি দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বল্গা হরিণের জন্যও একই আইন।’

এদিকে এই বেড়া নির্মাণের কাজটি নরওয়ের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জের। নরওয়ের কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তা মাগনার ইভার্টসেনের ভাষ্যমতে, নির্মাণকাজের জন্য শ্রমিকদের সব সময় নরওয়ে সীমান্তের ভেতরে থাকতে হবে। কোনোভাবে যদি তাঁরা রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন, তাহলে সাজার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, ভিসা ছাড়া প্রবেশ নিয়ে রাশিয়ায় বেশ কড়াকড়ি রয়েছে।