ইউক্রেন কি এবার এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান
ফাইল ছবি: এএফপি


যুদ্ধে রাশিয়াকে সামাল দিতে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক চাইছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের ওই আহ্বানে সাড়া মিলেছে। দেশটিকে ট্যাংক দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, পোল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ। ট্যাংক নিয়ে বোঝাপড়া শেষে এবার আরেকটি নতুন দাবি সামনে এনেছেন কিয়েভের নেতারা। দাবিটি হলো, তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে পশ্চিমা যুদ্ধবিমান।

এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে কথা বলছিলেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, গত বছর খ্রিষ্টীয় বড়দিনের সময় সান্তা ক্লজের কাছে নিজের বিভিন্ন ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। ওই তালিকায় নাকি যু্দ্ধবিমানও ছিল। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে পশ্চিমাদের কাছে যু্দ্ধবিমান চাইছেন তিনি।

বিষয়টি শুক্রবার আরও পরিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘মার্কিন সরকারের কাছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যুদ্ধবিমান চেয়েছেন। ইউক্রেনীয়দের কী প্রয়োজন, তা নিয়ে আমরা সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাদের দরকার মেটাতে আমরা সর্বোচ্চ করছি। কোনো চাহিদা যদি মেটাতে না–ও পারি, আমাদের মিত্রদেশগুলো তা পূরণ করবে।’

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের নির্মাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলোর প্রথম ব্যবহার শুরু হয় গত শতকের সত্তরের দশকে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এ যুদ্ধবিমান আর কিনছে না। ইউরোপের দেশগুলোও বেশ পুরোনো এ বিমান বদলে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছে।

গত বছরেও ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা পেড়েছিলেন জন কিরবি। আর গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটু আগবাড়িয়ে কথা বলেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি অ্যাডভাইজার জন ফাইনার। তাঁর ভাষ্যমতে, ইউক্রেনকে কোন যুদ্ধবিমান দেওয়া হতে পারে, তা ঠিক করা হয়নি। তাঁর এ বক্তব্যের জেরে বলা চলে, কিয়েভ যদি মার্কিন সরকারের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান পায়, সেটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমানও হতে পারে।

একটি যুদ্ধবিমান দিয়ে আপনি কী করতে পারবেন? কথার কথা বলি, আপনি ধরেন মস্কোয় উড়ে গেলেন আর ক্রেমলিনে হামলা চালালেন। আমি মনে করি না ইউক্রেন এটা করবে। তারপরও ঝুঁকি থেকে যায়। এটা হলে এমন একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে, যা আমরা কেউই মেনে নিতে পারব না
—পিটার উইজনিনগাই, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল, নেদারল্যান্ডসের বিমানবাহিনী  

এফ–১৬–এর কথা বলা হচ্ছে, কারণ গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওপকে হোয়োকস্ত্রাকে দেশটির একজন পার্লামেন্ট সদস্য এ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে সরবরাহ করা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নেদারল্যান্ডস (ইউক্রেনকে) কী দিতে পারবে এ নিয়ে যখন কথা উঠেছে, তখন আমি বলব কোনো কিছু দিতে কোনো বাধা নেই।’  

এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের নির্মাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলোর প্রথম ব্যবহার শুরু হয় গত শতকের সত্তরের দশকে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এ যুদ্ধবিমান আর কিনছে না। ইউরোপের দেশগুলোও বেশ পুরোনো এ বিমান বদলে পঞ্চম প্রজন্মের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করছে। ফলে পুরোনো এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলো অন্য দেশের কাছে বিক্রি করতে পারে তারা। যেমন বাহরাইন ও জর্ডানের মতো অনেক দেশ তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য এই বিমান এখনো কিনছে।

নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গত সপ্তাহের বক্তব্যে এটা অনেকটা আন্দাজ করা যাচ্ছে যে ইউক্রেন তাদের কাছে এফ–১৬ চেয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হাতে বর্তমানে ২৪টি এফ–১৬ আছে। আগামী বছর নাগাদ দেশটির এ যু্দ্ধবিমান বদলে এফ–৩৫ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে ১২টি এফ–১৬ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহারের জন্য বিক্রি করেছিল দেশটি।  

এ নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পিটার উইজনিনগা বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের হাতে অনেগুলো এফ–১৬ আছে, যেগুলো অন্য দেশের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে বা বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে দেওয়া যেতে পারে। আমি মনে করি, নেদারল্যান্ডস সরকার কিয়েভের হাতে এ যুদ্ধবিমানগুলো তুলে দেওয়ার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছে।’

যুদ্ধে ইউক্রেনকে কতটা সহায়তা করবে এফ–১৬

সমরবিদদের অনেকের মতে, শুধু এফ–১৬ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনের জন্য আলাদা কোনো সুবিধা বয়ে আনবে না। এমনই একজন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য হেগ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক টিম সুইজ। তিনি বলেন, ‘শুধু এ বিমানগুলো যুদ্ধের মোড় বদলে দিতে পারবে না। সেনাসদস্য, ট্যাংক, হিমার্সের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উপক্ষেপণ ব্যবস্থা এবং রাশিয়ার রাডার ব্যবস্থা ফাঁকি দেওয়ার ব্যবস্থার সঙ্গে এফ–১৬ মাঠে নামানো হলে যুদ্ধে ইউক্রেনের পালে হাওয়া লাগতে পারে।’

এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বড় একটি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) জ্যেষ্ঠ গবেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক। তাঁর ভাষায়, ‘পশ্চিমা যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়া ভূখণ্ডে গিয়ে হামলা চালাতে পারবে, এটা আকাশকুসুম চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাস্তবতাটা হলো রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যেমন ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য বড় হুমকি, তেমনই পশ্চিমা যুদ্ধবিমানগুলোর জন্যও হুমকি ডেকে আনবে।’

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বড় একটি বাধা হতে পারে বলে মনে করছেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) জ্যেষ্ঠ গবেষক জাস্টিন ব্রঙ্ক। তাঁর ভাষায়, ‘পশ্চিমা যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়া ভূখণ্ডে গিয়ে হামলা চালাতে পারবে এটা আকাশকুসুম চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তাহলে এফ–১৬ পেলে সেগুলো কী কাজে ইউক্রেন ব্যবহার করতে পারবে? এ বিষয়ে জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, এ যুদ্ধবিমানগুলো মূলত প্রতিরক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন। যেমন ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করতে পারে এবং রাশিয়া যুদ্ধবিমানগুলো ইউক্রেনের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করলে সেগুলোকে বাধা দিতে পারে। এ ছাড়া ইউক্রেনের সেনাদের সুরক্ষা দেওয়ার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে এ যুদ্ধবিমানগুলো।

সবচেয়ে বড় কথা হলো এফ-১৬ যুক্তরাষ্ট্র তৈরি। তাই শেষ পর্যন্ত তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানটি দিতে রাজি হবে কি না, তা শুধু মার্কিন সরকারের ওপরই নির্ভর করছে।

এফ–১৬ থেকে সর্বোচ্চ সফলতা পেতে চাইলে ইউক্রেনকে আকাশে আধিপত্য অর্জন করতে হবে বলে মনে করছেন নেদারল্যান্ডসের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পিটার উইজনিনগা। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো, কিয়েভকে রাশিয়ার এস–৪০০ ও এস–৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংস করতে হবে। তাই ইউক্রেনকে শুধু এফ–১৬ দিলেই হবে না। পশ্চিমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে দেশটি যেন যুদ্ধক্ষেত্রের আকাশসীমায় আধিপত্য বজায় রাখতে পারে।’

রাশিয়া তৈরি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান রয়েছে ইউক্রেনের কাছে।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আছে আরও বাধা

ইউক্রেনকে এফ–১৬ সরবরাহের ক্ষেত্রে আরও কিছু বাধার কথা মাথায় রাখতে হবে পশ্চিমাদের। গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলছিলেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে সেগুলোই দিচ্ছি যেগুলো তারা চালাতে, রক্ষণাবেক্ষণ করতে এবং টিকিয়ে রাখতে পারবে। আর এফ–১৬ তো খুবই জটিল একটি ব্যবস্থা।’

এফ–১৬ দিতে হলে পশ্চিমাদের প্রথমেই ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ নিয়ে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত বলছিলেন, পাইলটদের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের প্রশিক্ষণ শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। আর চলতি সপ্তাহেই পেন্টাগনের প্রেস সচিব ব্রিগেডিয়ার প্যাট রাইডার বলেছেন, ইউক্রেনের কোনো পাইলট যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কি না—এমন কিছু তিনি জানেন না। অর্থাৎ, এফ–১৬ হাতে পেলেও শিগগিরই সেগুলো কাজে লাগাতে পারবে না ইউক্রেন।

আরও পড়ুন

আরেকটি বড় সমস্য হলো রক্ষণাবেক্ষণ। এ কারণে সেদিন পর্যন্তও ইউক্রেনে এম–১ আব্রাম ট্যাংক পাঠাতে রাজি ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও পোল্যান্ডসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ এফ–১৬ ব্যবহার করে। ফলে যু্দ্ধবিমানগুলোর বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে ঠিক করতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সহায়তা পেতে পারে ইউক্রেন। তবে প্রতিদিনের রক্ষণাবেক্ষণ আর ছোটখাটো সমস্যার জন্য নিজেদের প্রকৌশলীদের ওপর নির্ভর করতে হবে দেশটিকে।

গবেষক জাস্টিন ব্রঙ্কের ভাষ্যমতে, ‘এফ–১৬ অত্যন্ত জটিল একটি যুদ্ধবিমান। বিশেষ করে এতে ব্যবহার করা সফটওয়্যারগুলো বেশি জটিল। আর যুদ্ধবিমানগুলোর নকশা ইউক্রেনের কাছে থাকা মিগ–২৯ ও সুখোই–২৭ যু্দ্ধবিমানের চেয়ে অনেক আলাদা। ইউক্রেনের প্রকৌশলীরা মূলত এ যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণেই দক্ষ।’  

ফলে এফ–১৬ হাতে পেলে ইউক্রেনকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যা করতে হবে তা হলো, নিজেদের প্রকৌশলীদের মাসের পর মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া অথবা এ কাজে দক্ষ পশ্চিমা প্রকৌশলীদের ভাড়া করে নিয়ে আসা। যদিও চাইলেই তাঁরা যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের আসবেন কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন।

রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ হাতে পাচ্ছে ভারত
ফাইল ছবি: এএফপি

রাজনৈতিক সদিচ্ছা

ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে রাজনীতিকেরা যেমন প্রথম দিকে জল ঘোলা করেছিলেন, যুদ্ধবিমান পাঠানোর ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। নেদারল্যান্ডসের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল পিটার উইজনিনগাই যেমন বলছিলেন, ‘লজিস্টিক–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নয়, ইউক্রেনে এফ–১৬ পাঠানোর ক্ষেত্রে রাজনীতিই বেশি বড় সমস্যা।’

জার্মানি এফ–১৬ ব্যবহার করে না। এরপরও গত বুধবার জার্মানির পার্লামেন্টে দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ‘ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে না। আগেই বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও একই কথা বলেছেন। এ সিদ্ধান্ত বদলায়নি, আর বদলাবেও না।’

আরও পড়ুন

আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারলে এফ–১৬ ব্যবহার করে ইউক্রেন নিজেদের ভূখণ্ডের বাইরে গিয়ে হামলা চালাতে পারবে—বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে পিটার উইজনিনগাই বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিমান দিয়ে আপনি কী করতে পারবেন? কথার কথা বলি, আপনি ধরেন মস্কোয় উড়ে গেলেন, আর ক্রেমলিনে হামলা চালালেন। আমি মনে করি না ইউক্রেন এটা করবে। তারপরও ঝুঁকি থেকে যায়। এটা হলে এমন একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে, যা আমরা কেউই মেনে নিতে পারব না।’

আরও পড়ুন

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এফ–১৬ যুক্তরাষ্ট্র তৈরি। তাই শেষ পর্যন্ত তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমানটি দিতে রাজি হবে কি না, তা শুধু মার্কিন সরকারের ওপরই নির্ভর করছে। এমনকি অন্য কোনো দেশ তাদের এফ–১৬ ইউক্রেনকে দিতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন লাগবে। দেশটির কর্মকর্তা এটা এত দিন বলে এসেছেন, ইউক্রেনের যা যা প্রয়োজন, তা তাঁরা সরবরাহ করবেন। এটা কিন্তু বলেননি যে ইউক্রেন যা চাইবে, তা–ই দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

শেষ করা যাক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি অ্যাডভাইজার জন ফাইনারের একটি বক্তব্য দিয়ে। গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম এমএসএসবিসিকে তিনি বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনের যা দরকার বলে আমরা মনে করি এবং যুদ্ধের এ পর্যায়ে এসে ইউক্রেন নিজেদের জন্য যা দরকার বলে মনে করে, তা যাচাই–বাছাই করেই আমরা সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

সিএনএন ও রয়টার্স অবলম্বনে শেখ নিয়ামত উল্লাহ