ইসরায়েলের মতো জেলেনস্কিও মিত্রদের সহায়তা চান
ইউক্রেন যুদ্ধে মিত্রদেশগুলোকে পাশে পেতে ইসরায়েলের প্রসঙ্গ টেনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, ইরানের হামলা ঠেকাতে মিত্রদেশগুলো যে ঐক্য দেখিয়েছে, তা যেন ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও দেখানো হয়।
গতকাল সোমবার বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে এমন আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার হামলার মুখে শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা পেয়ে আসছে ইউক্রেন। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ সহায়তা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে বড় সমস্যায় পড়েছে কিয়েভ সরকার।
জেলেনস্কি বলেন, ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিয়ে মুক্ত বিশ্ব এটা দেখিয়েছে যে এমন ঐক্য শুধু সম্ভবই নয়, বরং শতভাগ কার্যকর। আর এটা ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সম্ভব। ইসরায়েলের মতো ইউক্রেনও ন্যাটো (পশ্চিমা সামরিক জোট) সদস্য নয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সহায়তার জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। তবে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ডানপন্থী রিপাবলিকান সদস্যদের বিরোধিতার কারণে তা আটকে যায়।
এদিকে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমা সহায়তার বিষয়টি তুলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্র কুলেবাও। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, যখন মিত্ররা খুবই সমন্বিতভাবে কাজ করে, তখন শত্রুপক্ষের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রও ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছাতে পারে না। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে না। আমরা মিত্রদের কাছ থেকে যা চাইছি, তা হলো যদি আপনারা আমাদের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের মতো একইভাবে পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তাহলে আমাদের যা প্রয়োজন, তা দিয়ে দিন। বাকি কাজটা আমরাই করে নেব।’
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইরায়েলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে তেহরান। ইসরায়েলের দাবি, ওই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশই আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে তারা সহায়তা পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডানের।