রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত

ইউক্রেনের ওপর থেকে শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়ানেস স্টলটেনবার্গফাইল ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পেয়েও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেন। এ জন্য একটি শর্তকে দায়ী করা হচ্ছে। শর্ত অনুযায়ী ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র শুধু নিজেদের এলাকায় ব্যবহার করতে পারবে। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে সেই অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

তবে সম্প্রতি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ওপর চাপানো সেই শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সফরে এসে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে যৌথভাবে সেই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কথায়ও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। গতকাল বুধবার মলদোভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের বাইরে কোনো লক্ষ্যবস্তুর ওপর তাদের অস্ত্র ব্যবহারে সহায়তা বা উৎসাহ দেয়নি৷ ইউক্রেনকেই নিজস্ব প্রতিরক্ষার স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, রাশিয়ার হামলার পর যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী মার্কিন প্রশাসন ধাপে ধাপে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে এসেছে। রাশিয়ার পদক্ষেপের ওপরও সেই সহায়তা নির্ভর করেছে।

এদিকে খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনকে নতুন করে সহায়তার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ন্যাটো। ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রাগে সে বিষয়ে আলোচনা করছেন। মার্কিন নেতৃত্বে ইউক্রেনের জন্য এক হাজার কোটি ইউরোর যে সহায়তা প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, তার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর হাতে হস্তান্তরের বিষয়ে অগ্রগতি আশা করা যাচ্ছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেলে ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো আক্রমণাত্মক অস্ত্র হস্তান্তরের দায়িত্ব নেবে ন্যাটো।

ইউক্রেনকে সহায়তায় ন্যাটোর বাড়তি পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়া। তাদের ভূখণ্ডে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে ছাড়পত্র, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর এবং ন্যাটোর পক্ষ থেকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহের মতো পদক্ষেপের ফলে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে বলে মস্কো সাবধান করেছে।