রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আশা দেখছেন পুতিনঘনিষ্ঠ সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর শ্রোয়েডার

সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডার
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে রাশিয়া। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এই পদক্ষেপ প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা সংঘাতকে যুদ্ধিবিরতির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোয়েডার। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত।

আজ বুধবার লুক্সেমবার্গভিত্তিক টেলিভিশন আরটিএলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গেরহার্ড শ্রোয়েডার এসব কথা বলেছেন বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে তিনি পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। গেরহার্ড শ্রোয়েডার বলেছেন, ক্রেমলিন সমঝোতার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান চায়, এটা একটা সুখবর। এ ক্ষেত্রে শস্য রপ্তানি চুক্তি প্রাথমিক সফলতা। হয়তো শিগগিরই এটি যুদ্ধবিরতিতে গড়াতে পারে।

গত সোমবার ইউক্রেনের ওদেসাবন্দর থেকে শস্যভর্তি প্রথম জাহাজটি লেবাননের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ওই দিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজোনি নামে সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি রওনা করে। গতকাল মঙ্গলবার জাহাজটি ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়। আজ বুধবার সেখানে তুরস্ক, ইউক্রেন, রাশিয়া ও জাতিসংঘের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট কন্ট্রোল সেন্টারের (জেসিসি) কমকর্তারা জাহাজের পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। এটা শেষ হওয়ার পর জাহাজটি লেবাননের ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশ্যে ইস্তাম্বুল ত্যাগ করবে।

সাক্ষাৎকারে শ্রোয়েডার আরও বলেছেন, ক্রিমিয়া সংকটের মতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সেটা হতে হংকংয়ের মতো ৯৯ বছরের বেশি লাগার কথা নয়। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারবে।

যুদ্ধবিরতির জন্য ‘সুইস ক্যানোতাল মডেল’ একটা ভালো সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন সাবেক এই জার্মান চ্যান্সেলর। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিন যুদ্ধপূর্ব সমঝোতার ক্ষেত্রে ফিরে যাবেন কি না, তা দেখতে হবে।

১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত গেরহার্ড শ্রোয়েডার জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করলেও এ জন্য পুতিনের কোনো ধরনের নিন্দা জানাননি তিনি।