ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত: রাশিয়া

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হিমারস রকেট ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন
ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। মস্কো এমন অভিযোগ করেছে গতকাল মঙ্গলবার। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলল মস্কো। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমারস রকেট ব্যবস্থা নিয়ে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সহকারী প্রধানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযোগ করে রাশিয়া। ইউক্রেনের সহকারী সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান ভাদিম স্কিবিৎস্কি উপগ্রহ চিত্র ও নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে কিয়েভের হিমারস রকেট ব্যবস্থা দিয়ে হামলার কথা জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফকে ভাদিম স্কিবিৎস্কি বলেছেন, প্রতিটি হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে হামলা করা হয়। তবে ভাদিম স্কিবিৎস্কি একই সঙ্গে এ-ও বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সরাসরি লক্ষ্যবস্তু-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করছেন না।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে আসছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ ছাড়া যুদ্ধে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কারণ, তারা মস্কোর সঙ্গে সরাসরি কোনো সামরিক সংঘাতে জড়াতে চায় না। কিন্তু ভাদিমির ওই সাক্ষাৎকার দেখে মনে হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আমেরিকার তৈরি হিমারস রকেট ব্যবস্থা দিয়ে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নেয় বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কভ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের ফোনকল ইন্টারসেপ্ট করে এ তথ্য জেনেছেন তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘এসব কিছু এটা প্রমাণ করে যে হোয়াইট হাউস আর পেন্টাগন অন্য দাবি করলেও ওয়াশিংটন ইউক্রেন সংঘাতে সরাসরি যুক্ত।

এটা অস্বীকারের উপায় নেই। দনবাসসহ অন্য অঞ্চলে আবাসিক এলাকা এবং বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে কিয়েভ যে রকেট হামলা চালাচ্ছে, তার জন্য জো বাইডেন প্রশাসন সরাসরি দায়ী। ইউক্রেনের এসব হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।’

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ অভিযোগ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।